হোম > ছাপা সংস্করণ

শাহজালাল বিমানবন্দর: পরিচালনা ও হ্যান্ডলার নির্ধারণে ৩ পক্ষের সমীক্ষা

মনজুরুল ইসলাম, ঢাকা

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের আংশিক উদ্বোধন করা হবে আগামী অক্টোবরে। টার্মিনালটি পুরোপুরি কার্যক্রমে আসবে আগামী বছরের শেষ দিকে। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বে (পিপিপি) দেশের প্রধান এই বিমানবন্দর পরিচালনা ও গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং করতে এরই মধ্যে আগ্রহ দেখিয়েছে জাপান। তবে কী প্রক্রিয়ায় কাজটি দেওয়া হবে, কত রাজস্ব আয় হবে, আয় ভাগাভাগি কীভাবে হবে—তা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। এসব বিষয় চূড়ান্ত করতে চলছে তিন পক্ষের আলাদা সম্ভাব্যতা সমীক্ষা। 

বেবিচক সূত্রে জানা গেছে, সরকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্ব আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠানকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পিপিপির ভিত্তিতে টার্মিনালটি পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একটি প্রকল্পে এরই মধ্যে নীতিগত অনুমোদনও দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। তবে সবকিছু চূড়ান্ত হবে তিন পক্ষের সমীক্ষার পর।

এ প্রসঙ্গে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘টার্মিনালের পরিচালনা, গ্রাউন্ড ও কার্গো হ্যান্ডলিং কীভাবে, কোন প্রতিষ্ঠান করবে, তা নিয়ে তিনটি আলাদা সম্ভাব্যতা সমীক্ষা হচ্ছে। পিপিপি অথরিটি নিয়োগ করছে ট্রানজেকশনাল অ্যাডভাইজার। অন্যদিকে কীভাবে এটি করলে ভালো হয়, সে জন্য জাপানি কর্তৃপক্ষ একটি ফিজিবিলিটি স্টাডি করছে। আমরা বেবিচকের পক্ষ থেকেও একটি ফিজিবিলিটি স্টাডি করছি। যেটি মূলত অপারেশন রেডিনেন্স অ্যান্ড এয়ারপোর্ট ট্রান্সফার (ওআরএটি) প্রকল্পের আওতায় হচ্ছে।’

শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণকাজ শুরুর পরই এটির পরিচালনা, গ্রাউন্ড ও কার্গো হ্যান্ডলিং কীভাবে, কোন প্রতিষ্ঠান করবে, সেটি আলোচনায় আসে। এখন পর্যন্ত গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্বে রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। তবে দীর্ঘদিন যাবৎ সেবার নিম্নমান নিয়ে সমালোচনা হওয়ায় এবার বিমানকে দায়িত্ব না দিয়ে আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। যদিও রাজস্ব আয়ের একটি বড় অংশ গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং থেকে পায় বিমান। যেটি বছরে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার বেশি। ফলে বিমানও গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্ব বহাল রাখতে চায়।

এ প্রসঙ্গে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, ‘টার্মিনালটির কাজ যেহেতু এ বছরই প্রায় শেষ হয়ে যাবে এবং ২০২৪ সালের শেষ দিকে পুরোপুরি ফাংশনে যাবে, সে কারণে আমরা কীভাবে এটির অপারেশন বুঝে নেব, সে প্রক্রিয়া শুরু করেছি। গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং করতে এখন যারা আগ্রহ প্রকাশ করছে, তারা যদি শর্ত সাপেক্ষে না আসে অথবা তারা যদি আগ্রহ প্রত্যাহার করে, সে ক্ষেত্রে হয়তো আমাদের খোলা দরপত্রে যেতে হবে।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। এ টার্মিনাল নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছিল ২১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। যার ৫ হাজার কোটি টাকা বাংলাদেশ এবং বাকি অর্থ দিচ্ছে জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা)।

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন