ক্রীড়া ডেস্ক
খেলোয়াড় তৈরি কর আর বিক্রি কর—এই মন্ত্রকে সঙ্গী করে লম্বা সময় ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলে অর্থ আর খেলোয়াড় বিক্রির মাধ্যমে দাপট দেখাচ্ছে কিছু ক্লাব। তাদের ট্রফির ক্যাবিনেট হয়তো খুব একটা সুসজ্জিত নয়। তবে অর্থের হিসাবে এই কৌশলে রীতিমতো রাজত্ব করছে তারা। এমন দুটি ক্লাব হচ্ছে প্রতিবেশী ও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বেনফিকা-পোর্তো। দ্বৈরথে পর্তুগালের ক্লাব দুটি কেউ কাউকে ছাড় না দিলেও দল পরিচালনার কৌশলে তারা এক।
আর্থিকভাবে দুই ক্লাবের লাভের হিসাব বোঝা যাবে একটি পরিসংখ্যানে। জোয়াও ফেলিক্স, ডারউইন নুনেজ এবং রুবেন দিয়াজ—এই তিন খেলোয়াড় কিনতে বেনফিকার খরচ হয়েছিল ২৩৪ কোটি টাকা। আর এই তিনজনকে বিক্রি করে পর্তুগিজ ক্লাবটি ঘরে তুলেছে ২ হাজার ৬৩০ কোটি টাকা। গত আট মৌসুমে ইউরোপে একের পর এক তারকা খেলোয়াড় উপহার দিয়েছে এ দুই ক্লাব। এই সময়ে খেলোয়াড় বিক্রি করে দুই ক্লাবের সম্মিলিত আয় ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ইউরো বা ১২ হাজার ৬১০ কোটি টাকা।
মূলত শৈশব পেরিয়ে কৈশোরে পা রাখা প্রতিভাবান খেলোয়াড় বাছাই করে এনে আরও ধারালো করার কাজটাই করেছে বেনফিকা ও পোর্তো। এরপর এক-দুই মৌসুম পর ইউরোপীয় ফুটবলের মঞ্চে সেই খেলোয়াড়দের উপস্থাপন করেছে। আর মৌসুম শেষ না হতেই দলগুলো ঝাঁপিয়ে পড়ে সেই খেলোয়াড়দের দলে টেনে নিতে।
তবে এভাবে খেলোয়াড় বিক্রিতে আর্থিকভাবে লাভবান হলেও ইউরোপীয় মঞ্চে বড় কোনো সাফল্য পাওয়া হয়নি বেনফিকা ও পোর্তোর। দুর্দান্ত সব খেলোয়াড়ের ওপর ভর করে ইউরোপীয় শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে নিয়মিত খেললেও বড় স্বপ্ন পূরণ তাদের হয়নি। আর সেরা তারকাদের নিয়মিত বিক্রি করে দেওয়ায় দলের ভিত্তিও সেভাবে মজবুত হয়নি। এটি বারবার মাঠের দ্বৈরথে পিছিয়ে দিয়েছে তাদের।