ক্রীড়া ডেস্ক
চ্যাম্পিয়নস লিগের রাজা তিনি। এই মঞ্চে যেকোনো মুহূর্তে ম্যাচের রূপ বদলে দিতে পারেন। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের রাজত্ব পুনরুদ্ধারের লড়াইয়েও আরেকবার জাদু দেখালেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে শেষ মুহূর্তে গোল করে পিছিয়ে পড়া রেড ডেভিলদের জয় এনে দিয়েছেন রোনালদো। আতালান্তার বিপক্ষে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়া ম্যানইউ শেষ পর্যন্ত জয় পেয়েছে ৩-২ গোলে।
ঘরের মাঠ ওল্ড ট্রাফোর্ডে আতালান্তার বিপক্ষে ম্যাচের ২৮ মিনিটেই দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে ম্যানইউ। ম্যাচের ৫৩ মিনিট পর্যন্ত এই লিড ধরে রাখে ইতালিয়ান ক্লাবটি। এরপর ব্রুনো ফার্নান্দেজের অ্যাসিস্টে লক্ষ্যভেদ করে ব্যবধান কমান মার্কাস রাশফোর্ড। সমতায় ফিরতে ম্যানইউকে অপেক্ষা করতে হয় ৭৫ মিনিট পর্যন্ত। এবার এদিনসন কাভানির সহায়তায় লক্ষ্যভেদ করেন হ্যারি ম্যাগুয়ার। ম্যাচ যখন সমতায় শেষ হওয়ার দিকে এগোচ্ছিল, তখনই রোনালদোর চমক। লুক শর ক্রসে দারুণ এক হেডে গোল করে দলকে ৩-২ ব্যবধানে জয় এনে দেন ‘সিআর সেভেন’। এর আগে ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষেও শেষ মুহূর্তে ভাগ্য বদলে দেন পর্তুগিজ সুপারস্টার।
রোনালদোর নৈপুণ্যে শুধু ম্যানইউই উদ্ধার পেয়েছে এমন নয়, হুমকিতে থাকা কোচ ওলে গুনার সুলশারের চাকরিও কিছুটা ঝুঁকি মুক্ত হয়েছে। ম্যাচের পর তাই শিষ্যকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন নরওয়েজিয়ান এই কোচ। সুলশার বলেছেন, ‘যেভাবে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সে দলকে এগিয়ে নিয়েছে আমি দারুণ তৃপ্ত। সেন্টার ফরোয়ার্ড হিসেবে তাকে বলেছিলাম সে যেন অনেক বেশি প্রেস করে খেলে। যেহেতু আমরা ঘরের মাঠে খেলছি, এটা জরুরি ছিল।’
ম্যানইউতে শুরু থেকেই সেন্টার ফরোয়ার্ডের ভূমিকা পালন করছেন রোনালদো। যার ফলও পাচ্ছে ম্যানইউ। স্ট্রাইকার রোনালদোকে নিয়ে সুলশার বলেন, ‘সেন্টার ফরোয়ার্ড হিসেবে যা করার দরকার, সবকিছুই সে করেছে।’
ম্যানইউর নাটকীয় ঘুরে দাঁড়ানোর রাতে জয় পেয়েছে অন্য পরাশক্তিরাও। এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগে প্রথম জয় পেয়েছে বার্সেলোনা। জেরার্দ পিকের একমাত্র গোলে কাতালান জায়ান্টরা জিতেছে দিনামো কিয়েভের বিপক্ষে। জেনিতের বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতেছে জুভেন্টাস। বেনফিকাকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে দারুণ ছন্দে থাকা বায়ার্ন মিউনিখ। বায়ার্নের মতোই ৪-০ গোলে মালমোকে হারিয়েছে চেলসি।