মো. শামীম হোসেন, পাংশা (রাজবাড়ী)
শারীরিক প্রতিবন্ধকতা মো. হাবিবুর রহমানের মেধাকে আটকে রাখতে পারেনি। দুই হাত নেই, পা দিয়ে লিখেই পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে হাবিব। জেএসসি এবং দাখিল পরীক্ষার পর এবার আলিম পরীক্ষাও দিচ্ছে পা দিয়ে লিখে।
হার না মানা মো. হাবিবুর রহমান রাজবাড়ী জেলার কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের হেমায়েতখালী গ্রামের মো. আ. সামাদের ছেলে।
গতকাল রোববার পাংশা সিদ্দিকিয়া ফাজিল মাদ্রাসার পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে দেখা গেছে মো. হাবিবুর রহমানকে। জানা গেছে, হাবিবুর রহমান প্রথমে তার গ্রামের হেমায়েতখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। ২০১৫ সালে পুঁইজোর সিদ্দিকিয়া ফাজিল মাদ্রাসা থেকে জেএসসি পরীক্ষায় ৪.৬৩ নম্বর নিয়ে পাস করে সে। ২০১৮ সালে দাখিল পরীক্ষায় ৪.৬১ নম্বর নিয়ে পাস করে। একই মাদ্রাসা থেকে এবার পাংশা সিদ্দিকিয়া ফাজিল মাদ্রাসার পরীক্ষাকেন্দ্রে আলিম পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে সে।
পুঁইজোর সিদ্দিকিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক মো. হেদায়েতুল ইসলাম বলেন, হাবিব আমার মাদ্রাসার অত্যন্ত মেধাবী একজন ছাত্র। সে প্রতিটি ক্লাসেই ভালো করে। আজকে আলিম পরীক্ষা দিতে আসছে। হাবিব আমাদের মাদ্রাসা এবং দেশের গর্ব। তাকে নিয়ে আমরা অনেক আশাবাদী, তবে তার পরিবার দরিদ্র।
পাংশা সিদ্দিকিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আওয়াবুল্লাহ ইব্রাহিম বলেন, ‘জন্মগত শারীরিক প্রতিবন্ধী হাবিবুর রহমান আমার তত্ত্বাবধানে এই কেন্দ্রেই জেএসসি এবং দাখিল পরীক্ষা দিয়েছে। আলিম পরীক্ষাও দিচ্ছে। পা দিয়ে লেখা হলেও লেখা দেখে বোঝার উপায় নেই যে, পা দিয়ে লিখেছে। হাবিব অতিদরিদ্র পরিবারের সন্তান। সাহায্য-সহযোগিতা পেলে হয়তো আরও অনেকদূর এগিয়ে যাবে সে।’