যশোর প্রতিনিধি
যশোরে সদর হাসপাতাল থেকে এক দালাল জোর করে নিয়ে যাওয়ার পথে হুইলচেয়ার থেকে পড়ে স্বর্ণা নামের এক প্রতিবন্ধী তরুণীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ওই তরুণীকে আল্ট্রাসনোগ্রাম করার জন্য মনির নামের এক দালাল বেসরকারি হাসপাতাল ল্যাবজোনে নিয়ে যাচ্ছিল, এমনটাই অভিযোগ স্বজনদের। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
স্বর্ণা যশোর শহরতলির শেখহাটি এলাকার ফজের আলীর মেয়ে।
এদিকে চিকিৎসক না থাকাসহ বিভিন্ন অপচিকিৎসার অভিযোগ সম্প্রতি হাসপাতালটি সিলগালা করে দিয়েছিল স্বাস্থ্য বিভাগ। এরপরও সেটি চালু রেখেছে কর্তৃপক্ষ।
স্বর্ণার মা রোজিনা বেগম জানান, তাঁর মেয়েকে সকালে যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার পর চিকিৎসক তাঁকে ভর্তির পরামর্শ দেন।
রোজিনা বেগম বলেন, ‘এর পরই সদর হাসপাতালের সামনে ল্যাবজোন নামের একটি ক্লিনিকের কর্মচারী মনির তাঁদের প্রতিষ্ঠান থেকে আল্ট্রাসনোগ্রাম করার জন্য বারবার জোরাজুরি করছিল। কিন্তু আমরা তাতে সাড়া দিইনি। একপর্যায়ে মেয়েকে হাসপাতালে রেখে আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র আনতে বাড়িতে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে ফেরার পর বিকেলে মনির ছেলেটি আবারও আসে।’
রোজিনা বেগম আরও বলেন, ‘সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে মনির জোর করে আমার মেয়েকে হাসপাতালের বেড থেকে নামিয়ে হুইলচেয়ারে করে ল্যাবজোন হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় পুলিশ দেখে সে জোরে হুইলচেয়ার ঠেলতে থাকে। আমি বাধা দিলেও সে কোনো কথা শোনেনি। পরে হাসপাতালের গেটের মুখে আমার মেয়ে হুইলচেয়ার থেকে পড়ে যায়।’
হাসপাতালে কর্তব্যরত সহকারী উপপরিদর্শক আবু সালেহ বলেন, ‘মনির নামের এক দালাল দ্রুত গতিতে হুইল চেয়ারে বসিয়ে একজন রোগীকে নিয়ে যাচ্ছিল। একপর্যায়ে দেখি ওই মেয়েটি চেয়ার থেকে পড়ে যায়। আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই মনির পালিয়ে গেছে।’
যশোর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক আব্দুর রশিদ বলেন, ‘হুইলচেয়ার থেকে পড়ে যাওয়ার পর প্রতিবন্ধী তরুণীকে তাঁর অভিভাবকেরা জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। কিন্তু এর আগেই তিনি মারা যান।’