হোম > ছাপা সংস্করণ

৬ লাখ মণ গোলপাতা আহরণের লক্ষ্য

সুমেল সারাফাত, মোংলা (বাগেরহাট)

সুন্দরবনের পশ্চিম বিভাগের খুলনা ও বুড়িগোয়ালিনী রেঞ্জে ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে চলতি মৌসুমের গোলপাতা আহরণ। এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জে এ মৌসুম শুরু হয়। অন্যান্য বছর ডিসেম্বর মাসে গোলপাতা আহরণের অনুমতি দেওয়া হলেও এবার কিছুটা দেরিতে সুন্দরবন থেকে গোলপাতা সংগ্রহের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ বছর সুন্দরবনের পূর্ব বিভাগের একটি রেঞ্জ ও পশ্চিম বিভাগের দুটি রেঞ্জের আওতাধীন বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ছয় লাখ মণ গোলপাতা আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এ গোলপাতা আহরণ চলবে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত। এ মৌসুমে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের চাঁদপাই কূপ থেকে প্রায় ৯০ হাজার মণ ও শ্যালা কূপ থেকে ১ লাখ ২২ হাজার ৫০০ মণ গোলপাতা সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জে এবার গোলপাতা আহরণের অনুমতি দেওয়া হয়নি। আর সুন্দরবনের পশ্চিম বিভাগের খুলনা কূপ থেকে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৯৬০ মণ ও বুড়িগোয়ালিনী রেঞ্জ থেকে প্রায় ১ লাখ ২৫ হাজার ৯৬০ মণ গোলপাতা সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বন বিভাগ আরও জানায়, প্রতি গোলপাতা আহরণ মৌসুমে এ অঞ্চলের প্রায় দুই হাজার বাওয়ালি গোলপাতা আহরণ, পরিবহন ও বিক্রির কাজে যুক্ত।

মোংলার চাঁদপাই গ্রামের বাওয়ালি আব্দুল্লাহ, সোনাইলতলা গ্রামের ময়েন উদ্দিন ও রামপালের পেড়িখালী গ্রামের সিরাজ বলেন, তাঁদের নৌকা তৈরি ও মেরামতের কাজ সপ্তাহখানেক আগেই শেষ হয়েছে। বন বিভাগ অনুমতিপত্র (পাস) দেওয়া শুরু করেছে। তাঁরা দু-এক দিনের মধ্যেই গোলপাতা সংগ্রহে সুন্দরবনে ঢুকবেন। সুন্দরবনে ৩ / ৪ বছর ধরে দস্যু আতঙ্ক নেই। তারপরও বন বিভাগ ও কোস্টগার্ডের নিয়মিত নজরদারির আহ্বান জানান তাঁরা।

পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) বেলায়েত হোসেন বলেন, গোলপাতা মৌসুমে বাওয়ালিরা যাতে কোনো বনজ সম্পদ ধ্বংস না করতে পারেন সে বিষয়ে তাঁদের বিশেষ টহল ও নজরদারি থাকবে। বনে দস্যু আতঙ্ক নেই। তারপরও কোনো অপতৎপরতা দেখা গেলেই র‍্যাব ও কোস্টগার্ড তাঁদের সহায়তা করবে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে এ মৌসুম শেষ হবে বলে আশা করেন তিনি।

২০০৭ সালের সিডরে সুন্দরবনে ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় ওই বছর বন বিভাগ গোলপাতা সংগ্রহের পাস বন্ধ রাখে। এতে মৌসুমি গোলপাতার বাগান ও ঝাড়ের ব্যাপক ক্ষতি হয়। প্রতি বছর গোলপাতা সংগ্রহ করা না হলে পাতা নষ্ট হয়ে গোলপাতার বাগানে মড়ক ও ঝাড় ধ্বংস হয়ে যাওয়ার শঙ্কা থাকে। অপর দিকে সরকারও মোটা অঙ্কের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়। এ অবস্থা বিবেচনা করে সুন্দরবন বিশেষজ্ঞরা সিডর পরবর্তী নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারসহ প্রতি বছর গোলপাতা কাটার সুপারিশ করেন। বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ অনুযায়ী বন বিভাগ ২০০৮ সালে পুনরায় গোলপাতা সংগ্রহের অনুমতি দেওয়া শুরু করে।

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন