হোম > ছাপা সংস্করণ

চুরি বাড়ায় দুশ্চিন্তায় নগরবাসী

সোহেল মারমা, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম মহানগরীতে বিগত সময়ের তুলনায় বেড়েছে চুরি। বিশেষ করে বাসাবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে চুরি বাড়ায় উদ্বিগ্ন নগরবাসী। তেমনি চিন্তার ভাঁজ পড়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের কপালেও।

পুলিশ বলছে, করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারির কারণে এই চুরি বেড়ে যেতে পারে বলে তাঁদের ধারণা। তবে চুরি রুখতে ইতিমধ্যে তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে বলেও দাবি করেছে পুলিশ সূত্র। বিভিন্ন চুরির রহস্য উদ্ঘাটন ও মালামাল উদ্ধারের চেষ্টার পাশাপাশি বিকল্প চিন্তা-ভাবনা চলছে বলেও জানিয়েছে সূত্রটি।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (চসিক) দেওয়া তথ্যে, ২০২০ সালে চট্টগ্রাম মহানগরীতে ৩০৩টি চুরির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে বাসাবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ঘটে ১১৫টি চুরি। বিদায়ী বছর ২০২১ সালে এই চুরির সংখ্যা ৪০৪টি। এর মধ্যে ১৮১টি চুরি হয়েছে বিভিন্ন বাসাবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) মো. শামসুল আলম বলেন, ‘বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতি চুরি বেড়ে যাওয়ার পেছনে প্রাথমিক কারণ হিসেবে আমাদের কাছে মনে হয়েছে। এ সময়ে অনেকেই জবলেস (কর্মহীন) হয়ে যাওয়ায় ঘরে বসে ছিলেন। এতে স্বাভাবিকভাবে অর্থসংকট বেড়েছে। অনেকেই টাকা আয়ের সহজ মাধ্যম হিসেবে চুরিকে বেছে নিয়ে থাকতে পারেন।’

তবে সম্প্রতি চুরির ঘটনা অনেক কমেছে বলেও দাবি করেন তিনি।

শামসুল আলম বলেন, ‘আমরা চুরিকে একেবারেই শূন্যের কোঠায় নিয়ে যেতে পারব না। তবে একটা সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছি।’ এমনকি চুরিতে জড়িয়ে পড়া যে ব্যক্তিরা ভালো পথে ফিরে আসতে চান তাঁদের বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে কর্মসংস্থানের বিষয়ে তাঁদের চিন্তা রয়েছে বলেও জানান।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, রাতের বেলায় থানাভিত্তিক টহল দল বাড়ানো, ছদ্মবেশী ডিবি পুলিশের অবস্থান ও রাতের বেলায় চলা বিভিন্ন দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়াসহ নানা তৎপরতা পুলিশ চালিয়ে যাচ্ছে।

থানাভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সিএমপির অধীনে ১৬ থানার মধ্যে সবচেয়ে বেশি চুরির ঘটেছে কোতোয়ালি থানায়। এই থানার আওতাধীন এলাকায় গত বছর ৬৫টি চুরি হয়েছে। এর মধ্যে ৩৭টি বিভিন্ন বাসা-বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে সিঁধেল চুরি বা সংঘবদ্ধ চুরির ঘটনা। এরপরই রয়েছে বায়েজিদ থানা। ৪৮টি চুরির হয়েছে এই থানা এলাকায়। তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩৫টি চুরির রয়েছে ডবলমুরিং থানা এলাকায়।

পুলিশ কর্মকর্তারাও চুরি বাড়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তাঁরা বলছেন, করোনাকালে মানুষের আয়-রোজগার কমে যাওয়ায় অনেকেই তখন চুরিকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। পুলিশের হাতে পেশাদার ও অপেশাদার উভয় শ্রেণির চোর ধরা পড়েছে।

তাঁরা বলছেন, মাঝের সময়টায় চুরি বেড়ে যাওয়ায় পুলিশ তৎপর হয়। রাতের বেলায় বিশেষ টহল দল পরিচালনা করা হয়। এ ছাড়া যাঁরা চুরির সঙ্গে জড়িত তাঁদের ডেটাবেইস তৈরি করা হয়। জেল ও জেলের বাইরে থাকা পেশাদার চোরদের পরিসংখ্যান তৈরি ও নজরদারিতে রাখাসহ নানা কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়।

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন