নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পূর্বঘোষণা অনুযায়ী গতকাল রোববার থেকে রাজধানীতে সিটিং ও গেটলক সার্ভিস বন্ধ থাকার কথা ছিল। কিন্তু আগের মতোই গতকাল কিছু পরিবহন চলেছে সিটিং সার্ভিস হিসেবেই। ভাড়াও আদায় করা হয় সেভাবে। বাসের হেলপার, চালকেরা বলছেন, মালিকেরা তাঁদের সিটিং সার্ভিস বন্ধ রাখার নির্দেশ না দেওয়ায় তাঁরা আগের মতোই ভাড়া কাটছেন।
গত বুধবার পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা সিটিং সার্ভিস বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন। গতকাল রোববার থেকে সিটিং সার্ভিস বন্ধ থাকার কথা ছিল। অন্য রুটে সিটিং সার্ভিস না চললেও মোহাম্মদপুর থেকে চলা বাসগুলো সিটিং হিসেবেই চলেছে।
মোহাম্মদপুর থেকে অফিসগামী নাজমুল হাসান নামের এক যাত্রী অভিযোগ করেন, নগরীতে সিটিং সার্ভিস এখনো বন্ধ করা হয়নি। আগের মতো সিটিং সার্ভিস হিসেবেই ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ সরকার-নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। প্রতিবাদ করলেও হেলপার শুনছেন না। সিটিং সার্ভিস বন্ধের নামে নতুন নৈরাজ্য চলছে।
কারওয়ান বাজারে আরেক যাত্রী হাসান আরিফ বলেন, ‘পরিবহন মালিকেরা যাত্রীদের সঙ্গে মশকরা করছে। একবার ভাড়া বাড়িয়ে যাত্রীদের পকেট কাটল। এখন সিটিং সার্ভিসের প্রতারণা শুরু করেছে। দিন শেষে আমাদের বেশি ভাড়া দিতে হচ্ছে। এসব দেখার কেউ নেই। কর্তৃপক্ষ যদি অভিযান চালায়, তাহলে বাসে বেশি ভাড়া কীভাবে নেয়?’
নগরীতে সিটিং সার্ভিসের ব্যানারে চলতে থাকা আলিফ এন্টারপ্রাইজ বাসের হেলপার মো. রাসেল বলেন, ‘কোম্পানির পক্ষ থেকে আমাদের সিটিং সার্ভিস বন্ধ করার কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। বলা হয়েছে আগে যেভাবে চলেছি, এখনো সেভাবেই চলবে। ফলে আমরা যাত্রীদের কাছ থেকে ওয়েবিল অনুযায়ী আগের মতোই ভাড়া নিচ্ছি। এখানে আমাদের কিছু করার নেই। কোম্পানি যা বলবে, আমি তাই করব।’
আলিফ এন্টারপ্রাইজের দুটি বাসের মালিক জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বাসের চালক ও হেলপারকে সিটিং সার্ভিস বন্ধ রেখে সরকার-নির্ধারিত ভাড়া নেওয়ার কথা বলেছি। এসব অভিযোগের সত্যতা খুঁজতে আমরা বাসের হেলপার ও চালকদের সঙ্গে কথা বলব। তাঁরা নিজেদের স্বার্থে অনেক সময় যাত্রীদের কাছ থেকে বেশি ভাড়া আদায় করে থাকে। মালিক সমিতি সিটিং সার্ভিস বন্ধ রাখতে বলেছে, আমরা তা বন্ধ রেখেছি।’
এদিকে বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে ুবিআরটিএ অভিযান চালিয়েছে। অভিযানকালে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২৪৭টি বাস ও মিনিবাসকে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।