খুলনা প্রতিনিধি
আজ পয়লা ফাল্গুন, ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। বছরের এই দিনটিতে ফুল ব্যবসায়ীরা প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফুল বিক্রির অপেক্ষায় থাকেন। সেভাবেই প্রস্তুতি নিয়েছেন খুলনার ফরাজীপাড়া ফুল মার্কেটের বিক্রেতারা। তবে করোনার কারণে এ বছর ফুলের ব্যবসা জমেনি।
নগরীর ফুল মার্কেটে গিয়ে দেখা গেছে, ক্রেতার উপস্থিতি কম। বিক্রেতারা জানালেন, ক্রেতা খুব কম হওয়ায় হতাশ তাঁরা। এই মার্কেটে প্রায় ১৭টি দোকান রয়েছে। ফুল ব্যবসায়ীরা চাহিদা অনুযায়ী ফুল এনেছেন।
বাংলাদেশের ফুলের রাজধানী হিসেবে খ্যাত যশোরের গদখালীর পাইকারি ব্যবসায়ীরা প্রতিটি গোলাপের দাম নিচ্ছেন প্রায় ১৮ টাকা।
খুলনা নগরীর ব্যবসায়ীরা সেই গোলাপ বিক্রি করছেন ৩০ টাকায়। গোলাপ ছাড়াও এসব মার্কেটে রয়েছে জিপসি, জারবেরা, চন্দ্রমল্লিকা, অর্কিড, লিলিসহ আরও অনেক ধরনের ফুল।
স্বপ্নের ঠিকানা দোকানের মালিক মো. জাকির হোসেন বলেন, গোলাপ ৩০ টাকা ও ক্রাউন ১৫০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফুলের দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, গদখালী থেকে খুলনায় আসতে চার ঘণ্টা সময়ের প্রয়োজন। ফুল আনতে গেলে অনেক সময় ফুল শুকিয়ে যায়। আবার অনেক ক্ষেত্রে পচেও যায়। তাই লোকসান পুষিয়ে নেওয়ার জন্য এ দাম রাখা হয়। তাছাড়া করোনা মহামারির কারণে অনেক দিন দোকান বন্ধ রাখতে হয়েছে। সে সময় যে ক্ষতি হয়েছে তা এখনো পূরণ হয়নি।
বেচাকেনা ঠিকমতো হচ্ছে না। এর কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন রাত আটটার পর দোকান খোলা রাখা যায় না। অনেকে অফিসের কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে দোকান বন্ধ পেয়ে খালি হাতে ফিরে যায়। তাই অন্তত আজকের জন্য সময় বাড়াতে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
পুষ্পমালা দোকানের মালিক সালমান বলেন, ফুল তেমন বিক্রি হচ্ছে না। করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন সংক্রমণ রোধে চলছে বিধিনিষেধ। অনেকেই বাড়ি থেকে বের হতে চায় না।