হোম > ছাপা সংস্করণ

ব্যক্তি একই, ভিন্ন নামে একাধিক মামলায় সাক্ষী

সোহেল মারমা, চট্টগ্রাম

একই ব্যক্তি, কিন্তু ভিন্ন নামে একাধিক মামলায় সাক্ষী হয়েছেন। আবার মামলায় সাক্ষী হলেও আদালতে সাক্ষ্য দিতে আসছেন না। আদালত সমন জারির পর উল্লেখিত ঠিকানায় তাঁর কোনো হদিস মেলেনি। অভিযোগ রয়েছে, তিনি ফেসবুকেও ভুয়া নামে আইডি খুলেছেন। নিজের পরিচয় দেন ব্যাংক কর্মকর্তা বলে।

২০১৪ সালের ১০ মার্চ পাহাড়তলী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে হওয়া মামলা তদন্ত করতে গিয়ে মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি সম্পর্কে এমন তথ্য পাওয়া যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনের বাবার নাম খলিলুর রহমান। মা দেল আফরোজ। বাসা বায়েজিদ থানার পশ্চিম শহীদনগর এলাকায়।

চট্টগ্রামের আইনজীবী এ এইচ এম জিয়া হাবীব আহসান বলেন, একই ব্যক্তি ঘটনাক্রমে বিভিন্ন মামলায় সাক্ষী হতে পারে। তাতে দোষের কিছু নেই। কিন্তু নাম পরিবর্তন করে বিভিন্ন মামলায় সাক্ষী হিসেবে থাকার বিষয়টি অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। টাকার লোভে হোক বা অন্য স্বার্থের কারণে হোক, তাঁরা এই কাজটি করছেন। এদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা উচিত।

জানা গেছে, ২০১৪ সালে জান্নাতুন নুর কুসুম নামের এক নারী তাঁর স্বামী মাহাবুব মোর্শেদ সোহেলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে পাহাড়তলী থানায় মামলা করেন। ওই বছরই ৬ জুন মাহাবুব মোর্শেদকে অভিযুক্ত করে তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেন। এজাহারে বর্ণিত সাক্ষীর পাশাপাশি মোট আটজনকে সাক্ষী করেন তিনি। এর মধ্যে ১ নম্বর সাক্ষী ছিলেন নাসির উদ্দিন হেলাল (৪৫)। ঠিকানা দিয়েছিলেন, তিনি চট্টগ্রামে একটি ব্যাংকে চকবাজার শাখায় কর্মরত আছেন। বাবা খলিলুর রহমান ও স্থায়ী ঠিকানা দেখানো হয় নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরফ্যাশন এলাকা।

আসামি মাহাবুবের আইনজীবী রিক্তা বড়ুয়া বলেন, ‘২০১৪ সালে মামলাটির অভিযোগ গঠনের পর একমাত্র মামলার বাদী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। পরবর্তী সময়ে সাক্ষ্য দিতে আর কেউ আসেননি। এর মধ্যে আদালতে ৩৫টি ধার্য তারিখ চলে গেছে। প্রধান সাক্ষী ছিলেন নাছির উদ্দিন হেলাল। তিনি তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে ১৬১ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছিলেন। আদালতের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর পর জেরার জন্য আমরা পুনরায় তাঁকে রিকল করেছিলাম। কিন্তু তাঁকে পাওয়া যাচ্ছে না।’

আদালতের নথিসূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের শুরুতে ওই মামলায় নাছির উদ্দিন হেলালের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন আদালত। ২০১৯ সালে ১৮ এপ্রিল চকবাজার থানা-পুলিশের পক্ষ থেকে পরে আদালতে অবহিত করা হয়, চকবাজারে নাসির উদ্দিন হেলাল নামে সিটি ব্যাংকে কেউ কর্মরত ছিল না। তাঁকে পাওয়া যায়নি।

আইনজীবী রিক্তা বড়ুয়া বলেন, নাছির উদ্দিন হেলাল নামে মূলত কেউ নেই। এখানে ভুয়া নাম ব্যবহার করে সাক্ষী উপস্থাপন করা হয়েছিল।

এদিকে মাহাবুব মোর্শেদের স্ত্রী জান্নাতুল নুর কুসুম তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ২৩ এপ্রিল অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আরও একটি মিস মামলা করেন। ওই মামলায়ও পাঁচজন সাক্ষীর মধ্যে হেলাল উদ্দিন নাম পরিবর্তন করে জামাল আব্দুল নাসের নামে সাক্ষী ছিলেন। এ ছাড়া ২০১৯ সালে বায়েজিদ বোস্তামীর শহীদনগর এলাকার বাসিন্দা আহমদ ছাফা নামের এক ব্যক্তি তিনজনের নামে আদালতে মিস মামলা করেন। ওই মামলায় পাঁচজন সাক্ষীর মধ্যে জামাল আব্দুল নাছের একজন। তাঁর ঠিকানা বায়েজিদ থানার পশ্চিম শহীদনগর। এই মামলায়ও হেলাল উদ্দিন জামাল আব্দুল নাছের নামে ভুয়া সাক্ষী হিসেবে ছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে।

ভুক্তভোগী মাহাবুব মোর্শেদ বলেন, ‘হেলাল উদ্দিন মূলত তাঁর শ্বশুর আহমদ ছাফার বন্ধু। হেলালকে দিয়ে ভুয়া নামে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছিল। তিনি এ ক্ষেত্রে প্রতারণার শিকার হয়েছেন। সাক্ষী না আসায় আমার মামলাটিও শেষ হচ্ছে না।’

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন