ড. মো. শাহজাহান কবীর
সমাজে বসবাসরত প্রত্যেক মানুষ একে অন্যকে শ্রদ্ধা-সম্মান করবে এবং পরস্পরের প্রতি সদয় ও সহানুভূতিশীল হবে, এটিই ইসলামের নির্দেশ। মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে এরশাদ করেন, ‘কাছের প্রতিবেশী, দূরের প্রতিবেশী ও সঙ্গী-সাথিদের সঙ্গে উত্তম ব্যবহার করবে।’ (সুরা নিসা: ৩৬)
প্রতিবেশীকে কষ্ট দেওয়া মুসলমানের ইমানের পরিপন্থী কাজ। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং পরকালে বিশ্বাস রাখে, সে যেন তার প্রতিবেশীকে কষ্ট না দেয়। (মিশকাত) হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, আমি মহানবী (সা.)-কে এ কথা বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি তৃপ্তিসহকারে উদরপূর্তি করে খায় অথচ তার প্রতিবেশী ক্ষুধার্ত থাকে, সে ইমানদার নয়। (বায়হাকি)
ইসলামে শুধু একজন মুসলিমের অধিকার সংরক্ষণের কথা বলা হয়নি, জাতি-ধর্ম, বর্ণ-নির্বিশেষে সব শ্রেণির মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও তার ন্যায্য পাওনার প্রতি বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। অথচ দুঃখজনক হলেও সত্য, আজকের সমাজে প্রতিবেশীর হক তথা অধিকার উপেক্ষিত।
হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর কসম, ওই ব্যক্তি ইমানদার নয়, আল্লাহর কসম ওই ব্যক্তি ইমানদার নয়, আল্লাহর কসম ওই ব্যক্তি ইমানদার নয়।’ জিজ্ঞেস করা হলো, ‘হে আল্লাহর রাসুল, ওই ব্যক্তিটি কে?’ তিনি উত্তর দিলেন, ‘যার অত্যাচার ও অপকার থেকে তার প্রতিবেশীরা নিরাপদে থাকে না।’ (বুখারি ও মুসলিম)
মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, হজরত জিবরাইল (আ.) আমাকে প্রতিবেশীর হক সম্পর্কে এতই তাগিদ দিচ্ছিলেন যে, আমি মনে মনে ভাবতে লাগলাম তিনি হয়তো খুব শিগগিরই প্রতিবেশীকে আমার ওয়ারিশ বানিয়ে দেবেন। (মুসলিম)
ড. মো. শাহজাহান কবীর
বিভাগীয় প্রধান, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি