হিলি স্থলবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর থেকে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে ৭ মাসে রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। একই সময়ে বন্দরে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৬১ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। বিপরীতে আহরণ হয়েছে ২৩৮ কোটি ১০ লাখ টাকা। তবে গত জানুয়ারি মাসে লক্ষ্যমাত্রার অধিক ৯ কোটি ২১ লাখ টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে। কাস্টমস কর্তৃপক্ষের আশা, অর্থবছরের বাকি সময়ে লক্ষ্যমাত্রার অধিক রাজস্ব আহরণ সম্ভব হবে।
সূত্রে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩১২ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৩৯৯ কোটি টাকা আহরণ হয়। এতে লক্ষ্যমাত্রার অধিক ৮৭ কোটি টাকা আয় হয়। সে কারণে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা কিছুটা বাড়িয়ে ৪৫৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা নির্ধারণ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।
সে হিসেবে অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ৩৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয়েছে ৩৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। আগস্ট মাসে ৪৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকার বিপরীতে আহরণ হয় ২৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। সেপ্টেম্বর মাসে ৩৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকার বিপরীতে আহরণ হয় ৩৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা। অক্টোবর মাসে ৩৯ কোটি ২ লাখ টাকার বিপরীতে আহরণ হয়েছে ৩৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা। নভেম্বর মাসে ৪০ কোটি ৩২ লাখ টাকার বিপরীতে আহরণ হয়েছে ৩২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। ডিসেম্বর মাসে ৩০ কোটি ২৪ লাখ টাকার বিপরীতে আহরণ হয়েছে ৩২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। জানুয়ারি মাসে ৩৪ কোটি ১২ লাখ টাকার বিপরীতে আহরণ হয়েছে ৪৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।
স্থল শুল্ক স্টেশনের উপকমিশনার কামরুল ইসলাম বলেন, আগের অর্থবছরে সফল রাজস্বের ওপর ভিত্তি করে ২০২১-২২ অর্থবছরে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। ইতিমধ্যে এই শুল্ক স্টেশন থেকে জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত রাজস্ব আহরণ হয়েছে ২৩৮ কোটি ১০ লাখ টাকা। ২০২০-২১ অর্থবছরের একই সময়ে আদায় ছিল ১৭৩ কোটি টাকা। সেই আদায়ের তুলনায় চলতি অর্থবছরের ৭ মাসে ৬৫ কোটি টাকা বেশি হয়েছে, প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৩৭.৫৬ শতাংশ।