রাজবাড়ী প্রতিনিধি
দাম ও ফলন ভালো হওয়ায় রাজবাড়ীতে প্রতিবছরই বাড়ছে পেঁয়াজের চাষ। প্রতি মৌসুমে এ জেলায় মুড়িকাঁটা ও হালি এ দুই জাতের পেঁয়াজ আবাদ করেন চাষিরা। আগাম জাত-মুড়িকাটা পেঁয়াজ ঘরে তুলছেন চাষিরা। এখন চলছে হালি পেঁয়াজ রোপণের কাজ। অনুকূল আবহাওয়ার কারণে এবার ভালো ফলনের আশায় চাষিরা।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এবারও জেলা সদর, কালুখালী ও বালিয়াকান্দি উপজেলায় হালি পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, মাঠে মাঠে এখন চাষিরা ব্যস্ত সময় পার করছেন হালি পেঁয়াজ রোপণে। কেউ কেউ পেঁয়াজ বীজ রোপণ করছেন আবার কেউবা লাঙল দিয়ে পেঁয়াজ রোপণের জন্য লাইন তৈরি করছেন। এ ছাড়া অনেকে মুড়ি কাটা পেঁয়াজ জমি থেকে তুলছেন। জমিতেই অনেক নারীরা পেঁয়াজ কেটে ঝুড়িতে রাখছেন। পরে সেই পেঁয়াজ বস্তায় ভরে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন। অনেকেই আবার জমি থেকেই ব্যাপারীদের কাছে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন।
পেঁয়াজচাষি মজিদ মোল্লা বলেন, ‘পেঁয়াজ আরও ১৫-২০ দিন আগে লাগানোর কথা ছিল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের কারণে জমিতে পানি জমে থাকায় এবং পেঁয়াজবীজ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় পেঁয়াজের বীজ রোপণে দেরি হয়েছে। দাম পাব কি পাব না সেটা আল্লাহপাক জানেন। তবে সরকারের কাছে আবেদন জানাই, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি না করার জন্য।’
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, পেঁয়াজ উৎপাদনে দেশের তৃতীয় স্থানে রয়েছে রাজবাড়ী। সারা দেশের উৎপাদিত পেঁয়াজের ১৪ শতাংশ এ জেলা থেকে আসে। গত বছর জেলায় ৩০ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হয়েছিল। এ বছরেও লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত পেঁয়াজচাষিদের সরকারি সহায়তা দেওয়া হবে।’