হোম > ছাপা সংস্করণ

প্রসার ঘটবে বাণিজ্যের

শেখ জাবেরুল ইসলাম, গোপালগঞ্জ

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মভূমি গোপালগঞ্জ। রাজধানী ঢাকা ও এর আশপাশের জেলার সঙ্গে গোপালগঞ্জের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা আর উন্নয়নে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল খরস্রোতা পদ্মা নদী। তবে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে সেই বাধা দুর হওয়ার পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলায় খুলতে যাচ্ছে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত।

পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে গোপালগঞ্জে যোগাযোগ ও ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রসার ঘটবে। আর এতে খুশি এ জেলার মানুষ। এই সেতু করার মতো সাহসী উদ্যোগ নেওয়ায় বর্তমান সরকার ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞ এই জেলার মানুষ।

স্বাধীনতার পর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর এ জেলায় তেমন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। আওয়ামী লীগ সরকার প্রথমে ১৯৯৬ সালে ও পরে ২০০৮ সালে সরকার গঠনের পর গত ১৯ বছরে এ জেলায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। তবে রাজধানীর সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ ও ব্যবসা-বাণিজ্যে বাধা হয়ে ছিল পদ্মা নদী। এখন সেই বাধাও দুর হয়েছে। সেতু খুলে দেওয়া হলে এ অঞ্চলে গড়ে উঠবে শিল্প-কারখানা। কমবে বেকারত্ব।

গোপালগঞ্জ জেলা শহরের বাসিন্দা সুশান্ত সাহা বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই ঢাকা যেতে দুর্ভোগের শেষ থাকত না। তখন ফেরি ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যেত। ঘণ্টার পর ঘণ্টা নদীর পাড়ে অপেক্ষা করতে হতো। সেই চরম দুর্ভোগের অবসান হতে চলেছে। এটা এমন একটা অনুভূতি যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।

কাঁচামাল ব্যবসায়ী রহিম মিয়া বলেন, কাঁচামাল পরিবহনে তাঁদের ভোগান্তি শেষ হবে। কোনো মাল আর নষ্ট হবে না। পরিবহনে সময় ও খরচ কমবে, সেই সঙ্গে দেশের অন্য জেলাগুলোর সঙ্গে তাঁদের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে।

গোপালগঞ্জ শহরের গৃহিণী নাজমা বেগম বলেন, পদ্মা সেতু গোপালগঞ্জবাসীর জন্য সৌভাগ্য। তাঁরা গ্যাসের লাইন পাবেন এবং খুব সহজে ঢাকা যাতায়াত করতে পারবেন, সময় কম লাগবে। মুমূর্ষু রোগী নিয়ে ঢাকায় যেতে নদী পারের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করা লাগত, এখন আর লাগবে না।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ বৈরাগী বলেন, গোপালগঞ্জ নিম্ন জলাভূমি বেষ্টিত একটি জেলা। এ জেলার পাঁচ উপজেলাতেই মাছ চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। মাছ চাষ করে এখন পর্যন্ত গোপালগঞ্জের ১৭ হাজার খামারি স্বাবলম্বী হয়েছেন। জেলায় বর্তমানে প্রতি বছর ৪০ হাজার ৯৫২ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদিত হয়। যার বাজার মূল্য ৮১৯ কোটি ৪ লাখ টাকা।

তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতু চালু হলে চাষিরা এ মাছ সরাসরি ঢাকায় এনে বিক্রি করতে পারলে প্রতি কেজি মাছে তাঁরা কমপক্ষে ৫০ টাকা বেশি পাবেন। এতে তাঁদের আয় বাড়বে ২০৫ কোটি টাকা। পদ্মা সেতুকে ঘিরে এ অঞ্চলে মাছ চাষ বৃদ্ধি, মাছ ও কৃষিনির্ভর শিল্প স্থাপনের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

গোপালগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সাধারণ সম্পাদক শেখ মাসুদুর রহমান বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিনের অবহেলিত এই জেলায় শিল্পবিপ্লবের একটি ব্যবস্থা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বড় বড় শিল্পপতিরা এসেছেন। তাঁরা এখানে জমি কেনা শুরু করেছেন। জমির দাম বেড়েছে। তা ছাড়া ঢাকা-চিটাগাংয়ের দূরত্বের থেকে মোংলার দূরত্ব কম ও যাতায়াত সহজ হবে। যে কারণে এই দিকে শিল্পের বিকাশ বেশি হবে।

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন