মো. শামীম হোসেন, পাংশা (রাজবাড়ী)
আগামী বুধবার অনুষ্ঠিত হবে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন। প্রচারে ব্যস্ত ৪৯ জন চেয়ারম্যান, ১০৭ জন সংরক্ষিত সদস্য ও ৩৩৯ জনসহ মোট ৪৯৫ জন প্রার্থী। নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন তাঁরা, দিচ্ছেন উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি।
এদিকে নির্বাচনী পোস্টার রশি দিয়ে ঝোলানোর কথা থাকলে কেউ মানছে না সেই বিধি। স্কুলের দেওয়াল, ঘরের দেওয়াল, ঈদগাহ ময়দানের দেওয়াল, বৈদুতিক খুঁটি, গাছ, এমনকি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও প্রার্থীদের পোস্টার আঠা দিয়ে লাগানো হয়েছে।
প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। ফলে আচরণবিধি লঙ্ঘনে প্রার্থী ও তাঁদের সমর্থকেরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেনবলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তবে প্রার্থীদের দাবি, তাঁরা আচরণবিধি মেনেই পোস্টার সাঁটাচ্ছেন।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন প্রার্থী ও তাঁদের সমর্থকেরা। সকাল থেকে চলছে প্রচার মাইক। প্রার্থীদের ব্যানার–পোস্টারে ছেয়ে গেছে পুরো এলাকা। নিয়মের তোয়াক্কা না করেই চলছে প্রচার। নির্বাচন কমিশনের আইন রয়েছে, প্রার্থীদের পোস্টার রশি দিয়ে টানাতে হবে। কিন্তু তা কেউ মানছেন না। সর্বত্রই প্রার্থীদের পোস্টার আঠা দিয়ে লাগানো আছে।
১ নম্বর বাহাদুরপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, বিলগজারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দেওয়ালজুড়ে বিভিন্ন প্রার্থীর পোস্টার লাগানো রয়েছে। এতে ঢেকে গেছে দেওয়ালে লেখা বিদ্যালয়ের নাম। দেওয়ালে পোস্টার লাগানো প্রার্থীদের সঙ্গে কথা হলে তাঁরা জানান, বিষয়টি তাঁদের জানা নেই। কর্মীরা লাগাতে পারেন। তবে কর্মীদের পোস্টর দেওয়ার সময় আঠা দিয়ে কোথাও পোস্টর না লাগানোর জন্য বলা হয়েছে। রশি দিয়ে পোস্টার সাঁটানোর জন্য বলা হয়েছে।
বিভিন্ন ইউনিয়নের একাধীক প্রার্থী জানান, নিয়ম মেনেই ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছেন তাঁরা। নির্বাচনী বিধি মেনেই তাঁরা প্রচার করেছেন। সেই সঙ্গে আঠা দিয়ে দেওয়ালে পোস্টার না সাঁটানোর জন্য কর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আ. আলীম বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে কয়েকজনকে জরিমানা করা হয়েছে।