নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম নগরীর বারিক বিল্ডিং থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত সড়কটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে নামকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। গতকাল রোববার সকালে আন্দরকিল্লার পুরোনো নগর ভবনে করপোরেশনের ষষ্ঠ পরিষদের ১২তম সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্তের কথা জানান মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
সভায় মেয়র বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশেষ আন্তরিকতা দেখিয়েছেন। এর উদাহরণ হিসেবে কোনোরূপ ম্যাচিং ফান্ড ছাড়াই ২ হাজার ৪৯১ কোটি টাকার অনুমোদনের বিষয়টি উল্লেখ করেন তিনি। এর কৃতজ্ঞতাস্বরূপ নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বারিক বিল্ডিং থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত সড়কটির নাম ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা সড়ক’ নামকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
মেয়র বলেন, ‘বিষয়টি চসিকের ষষ্ঠ পরিষদের ১২ তম সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে স্বাধীনতার প্রথম ঘোষণাকারী জননেতা এম এ হান্নানের কবরটিতে তাঁর কীর্তিগাথাসংবলিত নামফলক স্থাপন করা হবে। এ ছাড়া চট্টগ্রামের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মহান ব্যক্তিদের স্মৃতিকে অম্লান রাখতে তাঁদের কৃতিত্বের বিবরণসংবলিত স্মৃতিফলক স্থাপনের ঘোষণা দেন তিনি।
নগরবাসীর উদ্দেশে রেজাউল করিম বলেন, ‘গৃহকর নিয়ে নানা ধরনের বিভ্রান্তিমূলক গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এ ধরনের বিভ্রান্তিতে কর্ণপাত না করে আমার ওপর আস্থা রাখার জন্য আপনাদের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।’
এ প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, কোনো কর বৃদ্ধি করার অবকাশ নেই। শুধুমাত্র করের আওতা বৃদ্ধি হবে। অর্থাৎ আগে যে স্থাপনাগুলো ছিল তা বাড়ানো হলে ওই অংশের কর ধার্য করা হবে।
রিভিউ কমিটির মাধ্যমে সকল আপিল বিবেচনা করে সহনীয় পর্যায়ে কর নির্ধারণ করা হবে বলেও মন্তব্য করেন রেজাউল করিম চৌধুরী।
জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্পের কাজের গতি বৃদ্ধিতে সন্তোষ প্রকাশ করে মেয়র বলেন, এই শুষ্ক মৌসুমে প্রতিটি ওয়ার্ডের ছোট-বড় খাল, নালা-নর্দমা থেকে পলিথিন, আবর্জনা ও মাটি অপসারণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে রেজাউল করিম বলেন, যাঁরা অবৈধভাবে খাল, নালা-নর্দমা দখলপূর্বক স্থাপনা নির্মাণ করে পানি নিষ্কাশনে যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন তা সরিয়ে ফেলতে হবে।
নগরীর আলোকায়ন প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, অনেক সড়কবাতি রাতে জ্বলে না বলে অভিযোগ আছে। বিদ্যুৎ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সড়কবাতি পরিদর্শকের মাধ্যমে তদারকি করে পরের দিন দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। এ সময় তিনি নিজ নিজ ওয়ার্ডে প্রয়োজনীয় শেডের চাহিদাপত্র প্রতিবেদন আকারে জমা দেওয়ার জন্য কাউন্সিলরদের প্রতি আহ্বান জানান।
করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলমের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, আফরোজা কালাম, সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সেলিম আকতার চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেমসহ কাউন্সিলরেরা।