হোম > ছাপা সংস্করণ

বিজ্ঞাপনে ঢেকে গেছে স্মৃতিস্তম্ভ অনুরোধেও হয় না কাজ

পটুয়াখালী প্রতিনিধি

নানা ধরনের বিজ্ঞাপনে ঢাকা পড়েছে পটুয়াখালী শহরের মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র স্মৃতিস্তম্ভ। কুয়াকাটা-বরিশাল মহাসড়কের পটুয়াখালী চৌরাস্তায় অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভটি দেখলে মনে হবে এটি একটি বিজ্ঞাপনী কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রধান ফলক। তবে পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে, এসব স্থাপনায় কোনো ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠান তাঁদের পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন লাগালে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানা গেছে, ২০১৩ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ পটুয়াখালী শহরের প্রবেশমুখে চৌরাস্তায় এই মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভটি নির্মাণ করে। তবে নির্মাণের পর থেকেই নানা রকম বিজ্ঞাপনে ছেয়ে যায় স্তম্ভটি। তবে পৌরসভা ও পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা কয়েকবার ব্যানার-ফেস্টুন সরিয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করলেও সচেতনতার অভাবে কিছুদিনের মধ্যে আবার আগের মতো হয়ে যায়। তবে সম্প্রতি এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে চলছে আলোচনা।

গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে কুয়াকাটা-বরিশাল মহাসড়কের চৌরাস্তায় অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভটিতে দেখা গেছে, বিভিন্ন মেডিকেল টেকনোলজি প্রতিষ্ঠান ও নার্সিং ইনস্টিটিউটের ভর্তি বিজ্ঞাপন। এতে স্তম্ভটির নামফলক ঢাকা পড়েছে।

এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আরিফুর রহমান সোহাগ নামে এক ব্যক্তি লিখেছেন, ‘আমাদের পটুয়াখালীর প্রবেশমুখ চৌরাস্তায় সুন্দর একটি স্বাধীনতা তোরণ, যা এই শহরকে এবং এই শহরের মানুষের রুচিবোধকে প্রতিনিধিত্ব করে। বর্তমানে এটি খুবই দুরবস্থার মধ্যে আছে। এটি দেখলে মনে হয় একটি বিজ্ঞাপনের দেয়াল, যা খুবই দৃষ্টিকটু। এই জায়গাটি দিয়ে বাংলাদেশসহ সারা দুনিয়ার মানুষ কুয়াকাটা, পায়রা পোর্ট, বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে যাতায়াত করে থাকে। বাইরের মানুষ কী ভাবছে আমাদের নিয়ে? আসলেই লজ্জা লাগে। তাই সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি অন্তত এই তোরণটির নিশ্বাস নেওয়ার সুযোগ করে দিন।’

পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাসান শিকদার বলেন, ‘আমি নিজে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে এই মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভটি কয়েকবার পরিষ্কার করেছি। দেখলাম আবারও ব্যানার ফেস্টুনের ভাগাড় হয়ে গেছে সেটি। এই মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ রক্ষার্থে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা সরদার আব্দুর রশিদ বলেন, ‘আমি অবাক হই, এই স্মৃতিস্তম্ভ চারপাশ এমনভাবে ব্যানার-ফেস্টুন দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে, মনে হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের ওপর রেগে এই ফেস্টুন-ব্যানার সাঁটাচ্ছে। এর আগেও কয়েকবার আমি পৌরসভাকে অনুরোধ জানিয়েছি এসব ফেস্টুন-ব্যানার সরিয়ে ফেলতে। তারাও সেসব সরিয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করেছে। কিন্তু সচেতনতার অভাবে কিছুদিন না যেতেই স্মৃতিস্তম্ভটি ব্যানার দিয়ে আবার ঢেকে দেওয়া হয়েছে। পটুয়াখালীর সৌন্দর্য মানুষের কাছে প্রকাশ পাবে কীভাবে, যদি শহরের প্রবেশমুখে এভাবে ব্যানার-ফেস্টুন দিয়ে স্মৃতিস্তম্ভটি ঢেকে রাখা হয়।’

এ ব্যাপারে পটুয়াখালী পৌর মেয়র মহিউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘আমরা এই মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভটির সৌন্দর্য রক্ষায় পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন অপসারণ করলেও আবারও লাগানো হয়। দ্রুত সময়ের মধ্যে এগুলো অপসারণ করা হবে। পরবর্তীতে এ ধরনের স্থাপনায় এভাবে কোনো ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠান পোস্টার-ফেস্টুন লাগিয়ে সৌন্দর্য হানি করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন