হোম > ছাপা সংস্করণ

হল তৈরির আগেই প্রভোস্ট!

মিনহাজ তুহিন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ছাত্রদের জন্য হল নির্মাণের আগেই সেই হলের জন্য প্রভোস্ট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এক বছর আগের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও প্রভোস্ট ড. কুন্তল বড়ুয়া বলেন, হলে শিক্ষার্থী না থাকলেও প্রভোস্টের কাজের শেষ নেই। হলে সমাবর্তনের কাজ, বিভিন্ন ধরনের আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র কেনা, হলে শিক্ষার্থী ওঠানোর নীতিমালা তৈরি। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের কাজ আছে। কাজের শেষ নেই।

২০১৮ সালের মে মাসে শুরু হয় চবির অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান হলের দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্মাণকাজ। সাড়ে ছয় মাসের কাজ ৪৩ মাসেও শেষ করতে না পারায় সাত মাস আগে নির্মাণকাজের কার্যাদেশ বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে পুরোপুরি কাজ শেষ না হওয়ায় কোনো বিভাগের ছাত্রদের এ হলে সংযুক্তি দেওয়া হয়নি।

অথচ নির্মাণাধীন হলটিতে ২০২০ সালের জুলাই মাস থেকে প্রভোস্ট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এক বছরের বেশি সময় ধরে প্রভোস্টের দায়িত্ব পালন করছেন নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক ড. কুন্তল বড়ুয়া।

প্রকৌশল দপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৩ মে ৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পের কার্যাদেশ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী। সাড়ে ছয় মাসে কাজ শেষ করতে বলা হয় ৷ কিন্তু পাঁচবার মেয়াদ বাড়িয়ে ৪৩ মাসে প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে প্রায় ৬০ শতাংশ। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে পরিশোধ করা হয়েছে ২ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কার্যাদেশ বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে নতুন টেন্ডারের প্রক্রিয়া চলছে।

হল বুঝে না পেলেও প্রভোস্টের সব সুবিধা, ভাতা গ্রহণ করছেন কুন্তল বড়ুয়া। হিসাব নিয়ামক দপ্তর সূত্রে জানা যায়, কোনো অধ্যাপক প্রভোস্টের দায়িত্ব পেলে মূল বেতনের ১২ শতাংশ ভাতা পেয়ে থাকেন।

এদিকে হলের নির্মাণকাজ শেষ হয়নি। হলে কোনো শিক্ষার্থীকে আসন বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। এমনকি কোনো বিভাগের শিক্ষার্থীদের সংযুক্তিও দেওয়া হয়নি। তবু নির্মাণাধীন হলে প্রভোস্ট নিয়োগ দেওয়ার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষকেরা।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক জাকির হোসাইন বলেন, হলের প্রভোস্ট নিয়োগ দেওয়া হয় হলে শিক্ষার্থী থাকলে, শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম, সুযোগ-সুবিধা, নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য। এখনো প্রভোস্টকে যদি হলই বুঝিয়ে দেওয়া না হয়, তাহলে তিনি কী কাজ করবেন?

সম্প্রতি নির্মাণাধীন এ হল থেকে প্রায় ১৫ লাখ টাকার মালামাল চুরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন হলের প্রভোস্ট। হল বুঝে না পাওয়ায় এখন এ চুরির দায় নিচ্ছেন না তিনি। অন্যদিকে হলের বর্তমান নিয়ন্ত্রণভার কার কাছে থাকবে, সে বিষয়েও কিছু বলতে পারছে না কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক মনিরুল হাসান বলেন, হলের নির্মাণকাজ শেষ করতে না পারায় কার্যাদেশ বাতিল করা হয়েছে। সব বিষয় নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে।

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন