মহিউদ্দিন রানা, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ)
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা ভবন নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভবনটি নির্মাণে নিম্নমানের টাইলস ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের। তাঁরা বলছেন, ভাঙা, ফাটা টাইলসের ব্যবহার করা হয়েছে। এ জন্য তারা ক্ষুব্ধ। এত টাকার প্রকল্পে এত বাজে কাজ মানা যায় না।
এলজিইডি অফিস বলছে, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণে কোনো ধরনের অনিয়ম হয়নি।
যেসব পণ্য ব্যবহার করা হয়েছে, সব উন্নত মানের। তবে মিস্ত্রিরা ফিনিশিংয়ে কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি করেছে। ফিনিশিংয়ে ত্রুটি-বিচ্যুতিগুলোসহ টুকটাক যা সমস্যা রয়েছে, সেগুলো দ্রুত ঠিক করা হবে।
জানা গেছে, নবনির্মিত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের কাজে অনিয়মের অভিযোগ ওঠার পর ঈশ্বরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুস ছাত্তার গত সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী (এলজিইডি) তৌহিদ আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান আকন্দ হলুদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল হাই প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় ২০২০-২১ অর্থবছরে ঈশ্বরগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স তৈরির কাজ শুরু হয়। ৫ তলাবিশিষ্ট ভবন নির্মাণের ব্যয় ধরা হয় ৩ কোটি ১৪ লাখ টাকা। ভবন নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয় মাল্টিপ্লেক্স হৃদয় জেভি নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে। চুক্তি অনুযায়ী ২০২০ সালের জুলাই মাসে কাজ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও কাজ শুরু হয় ২০২১ সালের মার্চে।
এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুস ছাত্তার (কমান্ডার) বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ প্রজেক্ট। সারা বাংলাদেশে যতগুলো মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স হয়েছে তার মধ্যে হয়তো ঈশ্বরগঞ্জের ভবনটিতে সবচেয়ে বাজে কাজ হয়েছে। এত টাকার প্রজেক্টে এত বাজে কাজ মানা যায় না।’
উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী (এলজিইডি) তৌহিদ আহমেদ বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণে কোনো ধরনের বাজে সামগ্রী ব্যবহার করা হয়নি। যেগুলো ব্যবহার হয়েছে, সবগুলো উন্নতমানের। তবে মিস্ত্রিরা ফিনিশিংয়ে কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি করেছে। ফিনিশিংয়ে ত্রুটি-বিচ্যুতিগুলোসহ টুকটাক যা সমস্যা রয়েছে ওইগুলো আমরা দ্রুত ঠিক করে দেব।’