নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিসিএস ক্যাডার হিসেবে পুলিশে আসা কর্মকর্তারা পদোন্নতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন। তাঁরা মনে করছেন, প্রতি ব্যাচে দু-একজন বাদে বাকি কর্মকর্তারা তেমন কোনো পদোন্নতি পাচ্ছেন না। পুলিশ সুপার (এসপি) পদে আটকে থেকেই অনেকের চাকরির মেয়াদ ফুরাচ্ছে। পদোন্নতিবঞ্চিত এমন কর্মকর্তাদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে এবং বিসিএস ক্যাডার হয়েও অন্তত পঞ্চম গ্রেডে যেতে না পারলে মেধাবীরা পুলিশ বাহিনীতে আসার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।
গতকাল বিকেলে পুলিশ সপ্তাহ-২০২২-এর চতুর্থ দিনের অধিবেশনে এসপি ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে পুলিশ মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) আলোচনা সভায় এসব বিষয় উঠে আসে। ওই সভায় অংশ নেওয়া একাধিক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। অতিরিক্ত আইজি ড. মো. মইনুর রহমান চৌধুরী সভাপতিত্বে রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। পুলিশের অতিরিক্ত আইজি, পুলিশ সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সব মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি ও জেলার পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তারা এতে অংশ নেন।
সভায় অংশ নেওয়া চট্টগ্রাম রেঞ্জের এক পুলিশ সুপার জানান, পদোন্নতির পাশাপাশি ঝুঁকিভাতা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অপারেশনে অংশ নেন, ঝুঁকি নেন, অনেক সময় দুর্ঘটনারও শিকার হন কিন্তু তাঁরা ঝুঁকিভাতা পান না। এই ঝুঁকিভাতা বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে বলা হয়েছে।
জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি (অপারেশনস মিডিয়া আ্যন্ড প্ল্যানিং) মো. হায়দার আলী খান বলেন, মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা নানা বিষয়ে আইজিপি ও অতিরিক্ত আইজিপিদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। যথাযথভাবে সেগুলো পূরণের আশ্বাসও দিয়েছেন সিনিয়র কর্মকর্তারা।
এদিকে গতকাল চতুর্থ দিনের অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আইজিপির কথা বলার কথা থাকলেও অধিবেশন শেষে তিনি চলে যান। পরে আইজিপির পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেন ডিআইজি হায়দার আলী খান। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ পুলিশকে ২০৪১ সালের উন্নত দেশের উপযোগী করে গড়ে তুলতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহারের মাধ্যমে পুলিশের সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
পুলিশের মাদকাসক্তি নিয়ে সভায় আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে এই ডিআইজি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশই প্রথম ডোপ টেস্টের ব্যবস্থা নিয়েছে। এ পর্যন্ত মাদকসংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ৩৭ পুলিশ সদস্যকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।