আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ)
সিরাজদিখানে ইছামতী নদীর তীরের পুরোনো এক বটগাছ ঘিরে গড়ে উঠেছিল একটি বাজার। বাজারটির নাম বাহেরঘাটা। ১৯৯৮ সালে বাজারটি বিলুপ্ত হয়ে গেলেও, দাঁড়িয়ে আছে বটগাছটি। স্থানীয় লোকজনের মতে, গাছটির বয়স কম হলেও ৩০০ বছর হবে। তবে, কে কখন গাছটি বুনেছিল, সে সম্পর্কে বিস্তারিত বলতে পারেনি কেউই।
বাহেরঘাটা গ্রামের বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন চাকলাদার (৬৫) বলেন, `জন্মের পর থেকেই বটগাছটি দেখে আসছি। আগে এ বটতলায় বড় হাট বসত। দূরদূরান্ত থেকে নৌকার মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা আসতেন। কেনাকাটার জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মানুষের সমাগম ঘটত। এই বাজারে ওঠা পান যেত দেশের বিভিন্ন স্থানে। প্রায় ৩০ বছর আগে বিলুপ্ত হয়ে গেছে হাটটি। এখন শুধু গাছটিই রয়ে গেছে।’
বাহেরঘাটা গ্রামের মেয়ে হাজেরা বেগম (৫৫) বলেন, ‘বাবা ব্যাংকে চাকরি করতেন। কর্মস্থল থেকে লঞ্চের মাধ্যমে আসা-যাওয়া করতেন। ছোটবেলায় বাবাকে নিতে বটতলায় আসতাম। বাবা লঞ্চ থেকে নেমে বাজার থেকে অনেক কিছু কিনে দিত। অনেক বড় বাজার ছিল। বটতলায় মানুষ থাকত প্রচুর। এখন বাজার নেই, তবে গাছটি রয়েই গেছে।’
শিক্ষক নাসির উদ্দিন বলেন, শুনেছি উপমহাদেশের বিখ্যাত পানের হাট বসত বাহেরঘাটা বাজারের বটতলায়। পানসি, গয়নাসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক নৌযান বাজারসংলগ্ন ঘাটে নোঙর করা হতো। কালের বিবর্তনে সবকিছুই হারিয়ে গেছে। শুধু বটগাছটি রয়ে গেছে।’