সিলেট প্রতিনিধি
সিলেটের ডাক্তারপাড়া খ্যাত নগরীর রিকাবীবাজারে স্টেডিয়াম মার্কেটে দীর্ঘ আট বছর ধরে লাইসেন্সবিহীন চলছিল সিলেট ইন-ডেন্টাল ক্লিনিক ও সেন্ট্রাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামের একটি প্রতিষ্ঠান। গতকাল রোববার অভিযান চালিয়ে সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ ছাড়া নগরীর দরগাহ গেট এলাকার একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ওষুধের দোকান বন্ধ এবং বিশ্বনাথ উপজেলার দুটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে জরিমানা করা হয়েছে।
সিলেটে কাগজপত্রহীন ও নিয়ম বহির্ভূতভাবে পরিচালিত বেসরকারি হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ডেন্টাল ক্লিনিক ও ওষুধের দোকানের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে সাঁড়াশি অভিযান। গতকাল রোববার সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও নগরীর বিভিন্ন স্থানে জেলা প্রশাসন, সিভিল সার্জন ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সমন্বয়ে এ অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
জানা গেছে, গতকাল বেলা ১১টা থেকে দুইটা পর্যন্ত বিশ্বনাথ উপজেলায় অভিযান চালিয়ে দুটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৩৫ হাজার জরিমানা করেছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সিলেট জেলা কার্যালয় পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত। জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আমিরুল ইসলাম মাসুদের নেতৃত্বে পরিচালিত এ অভিযানে উপজেলার মা মনি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ১৫ হাজার এবং সন্ধানী ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এসব ডায়াগনস্টিক সেন্টারের গবেষণাগারে বিভিন্ন টেস্টের বিপুল পরিমাণ মেয়াদবিহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ উপকরণ (রিএজেন্ট) পাওয়া যায়।
অপরদিকে, বেলা সাড়ে তিনটা থেকে নগরীতে অভিযান শুরু করে জেলা প্রশাসন, সিভিল সার্জন ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সমন্বয়ে গঠিত টিম। অভিযানকালে দরগা গেটের (পশ্চিম) আশ-শেফা মেডিকেল সার্ভিসেস ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও আশ-শেফা ফার্মেসিকে সিলগালা করা হয়। এই ফার্মেসির ছিল না ড্রাগ লাইসেন্স এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারেরও ছিল বৈধ কাগজপত্র।
এরপর অভিযান চালানো হয় নগরীর রিকাবীবাজারে স্টেডিয়াম মার্কেটে। সেখানে সিলেট ইন-ডেন্টাল ক্লিনিক ও সেন্ট্রাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স না থাকায় সিলগালা করা হয়। ২০১৪ সাল থেকেই সেটি লাইসেন্সবিহীন অবস্থায় পরিচালিত হচ্ছে বলে জানা গেছে।
আরও অভিযান পরিচালিত হবে বলে জানিয়ে অভিযানে নেতৃত্ব দানকারী জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. জন্মেজয় দত্ত বলেন, সিলেটে নগরে ১৬টি ও উপজেলা পর্যায়ে ২৩টি লাইসেন্স বিহীন এমন প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রাথমিকভাবে এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে। পর্যায়ক্রমে সব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর অন্যান্য অনিয়ম বন্ধে অভিযান চলবে বলে জানান তিনি।