নেত্রকোনা প্রতিনিধি
আনন্দমুখর পরিবেশে নেত্রকোনায় মুজিব শতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে চার দিনব্যাপী বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা বইমেলা শেষ হয়েছে। মেলার সমাপনী দিনে গত রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে শহরের মোক্তারপাড়া এলাকার সাধারণ গ্রন্থাগার চত্বরে আলোচনা সভা হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক কাজী মো. আবদুর রহমান। সঞ্চালনা করেন সাধারণ গ্রন্থাগারের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য চিন্ময় তালুকদার। প্রধান অতিথি ছিলেন নেত্রকোনা শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক রফিক উল্লাহ খান।
এ ছাড়া বক্তব্য দেন শিক্ষাবিদ ও প্রাবন্ধিক অধ্যাপক মতীন্দ্র সরকার, পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী, পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক বাচ্চু ও সানোয়ার হোসেন ভূঁইয়া। আলোচনার ফাঁকে কবিতা আবৃত্তি করেন কবি পহেলি দে।
প্রধান অতিথি রফিক উল্লাহ খান বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, মহাসমুদ্রের কল্লোলকে যদি একটি জায়গায় থামিয়ে দেওয়া যেত, তাহলে গ্রন্থাগার বা লাইব্রেরির সঙ্গে তার তুলনা করা যেত। এখন ডিজিটাল লাইব্রেরি হয়েছে। তবে যাই হোক, আজকে চার দিনব্যাপী বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা বইমেলার সমাপনী দিন। আমরা জাতির পিতা এবং তাঁর মেয়ে শেখ হাসিনার প্রতি মমত্ববোধ, তখনই আমরা প্রমাণ করতে পারব, যখন মানুষ হিসেবে আমরা পৃথিবীর মানুষের কাছে দৃষ্টান্ত হিসেবে স্থাপিত হব।’
অধ্যাপক মতীন্দ্র সরকার বলেন, ‘বই শব্দটি আমাদের ভাষায় এসেছে আরবি ভাষা থেকে। মূল শব্দটি ছিল ওহি। ওহি থেকে বহি। তারপর বহি হয়েছে বই। একসময় মানুষ মুখে বলত, কানে শুনত। যাকে আমরা পড়াশোনা বলি। আর এই পড়াশোনার মধ্য দিয়েই কিন্তু মানুষের সভ্যতার সূচনা।’