হোম > ছাপা সংস্করণ

বালুখেকোরা এখনো সক্রিয়

সম্পাদকীয়

বেঁচে থাকার জন্য মানুষকে খাদ্য গ্রহণ করতে হয়। মানুষের খাদ্যতালিকায় কত কি না আছে। মাছে-ভাতে বাঙালি বলে একটি কথা আছে, অর্থাৎ বাঙালির প্রিয় খাবার মাছ-ভাত। কিন্তু একেক দেশের মানুষের খাদ্যতালিকা একেক রকম। বেশির ভাগ মানুষ সম্ভবত মাংসভোজী। তবে নিরামিষভোজী মানুষের সংখ্যাও একেবারে কম নয়! সাপ, ব্যাঙ—কোনো কিছুই মানুষের খাদ্যতালিকা থেকে বাদ নেই। সর্বভুক বলে একটি শব্দ বাংলা ভাষায়ই চালু আছে।

মরা মানুষের কলিজা খাওয়া এক মানুষের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল বাংলাদেশে। ১৯৭৫ সালের ৩ এপ্রিল দৈনিক বাংলা পত্রিকায় কলিজাখেকো খলিলুল্লাহর খবর ছাপা হয়েছিল। মানসিক ভারসাম্যহীন খলিলুল্লাহ কবরস্থান থেকে উঠিয়ে মৃত মানুষের কলিজা খেতেন। খলিলুল্লাহর খবর তখন ভীষণ আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। 

তবে বাংলাদেশে এখন বালুখেকো, নদীখেকো, বনখেকো, পাহাড়খেকো বলেও কেউ কেউ পরিচিতি পেয়েছেন, পাচ্ছেন। এই তো বছরখানেক আগেই সেলিম খান নামের এক বালুখেকোর খবরও দেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদী থেকে ফ্রি স্টাইলে বালু উত্তোলনকারী সেলিম খান ২০২৩ সালে একাধিকবার খবরের শিরোনাম হয়েছেন। চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণের নামে বিপুল পরিমাণ সরকারি অর্থ হাতিয়ে নিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী দীপু মনির এই আত্মীয়। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর গত ৭ আগস্ট বালুখেকো সেলিম খানকে ক্ষিপ্ত জনতা পিটিয়ে হত্যা করেছে।

৩১ আগস্ট আজকের পত্রিকায় ‘নদী রক্ষা বাঁধ কেটে বালু লুট’ শিরোনামে প্রকাশিত খবর পড়ে এই ‘খেকো’ প্রসঙ্গটি মনে পড়ল। 

খবরে বলা হয়েছে, রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তা নদী রক্ষা বাঁধ কেটে বালু লুট চলছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে একটি চক্র তিস্তার বালু লুট শুরু করেছে। 

তিস্তা নদীর ডান তীরে লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের পূর্ব সীমানা থেকে গজঘণ্টা ইউনিয়নের পূর্ব সীমানা পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকাজুড়ে ৮টি বালুর পয়েন্ট রয়েছে। এসব স্থানে অবৈধভাবে খননযন্ত্র (ড্রেজার) ও ট্রলি দিয়ে রাতভর বালু উত্তোলন করছেন স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি। কয়েকটি স্থানে তিস্তা নদী রক্ষা বাঁধ কেটে সরাসরি নদীতে ট্রলি নামিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। নদীতে ১৬ থেকে ১৭টি ট্রলি নামিয়ে দিয়ে বালু উত্তোলন করেন। প্রতিদিন এই পয়েন্টগুলো থেকে প্রায় ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার বালু বিক্রি হয়। 

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বালু ব্যবসায়ীরা যেভাবে বালু উত্তোলন করছেন, তাতে নদীতে একটু চাপ বাড়লেই বাঁধ উপচে জনবসতিতে পানি ঢুকে পড়বে। 
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দেশে বিভিন্ন ‘খেকো’দের যে উৎপাত বেড়েছিল, ওই সরকারের পতনের পরও দেখা যাচ্ছে ‘নতুন বাংলাদেশে’ তা অব্যাহত আছে, এটা দুঃখজনক। এক বালুখেকো সেলিম খানকে পিটিয়ে মেরে ফেলার পরও দেশের অন্য জায়গায় নতুন বালুখেকোদের দৌরাত্ম্য দেখা যাচ্ছে। 

অন্তর্বর্তী সরকারের কাঁধে রাষ্ট্র সংস্কারের মতো অনেক বড় দায়িত্ব বর্তেছে বলে বালুখেকো লুটেরারা কি নজরের বাইরে থাকবে?

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন