বিরল (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
রসনাবিলাসে বিভিন্ন জাতের মরিচ থাকলেও দিনাজপুরের বিরল উপজেলার শিটি মরিচের সুনাম দেশজুড়ে। মরিচ চাষ করে এই উপজেলার কয়েক শ কৃষকের ভাগ্য বদল হয়েছে। গুণ-মানে ভালো হওয়ায় প্রায় দেড় শ বছরের পুরোনো এই মরিচ চাষ করে কৃষকেরা দেখছেন নতুন স্বপ্ন।
দৃষ্টিনন্দন এই মরিচের স্থানীয় নাম ‘বিরলের শিটি মরিচ’। এটি শুধু দেখতেই সুন্দর নয়, এর খ্যাতিও রয়েছে চারদিকে। নাম শুনলেই বোঝা যায় এর গুরুত্ব। ঝালসমৃদ্ধ এই শিটি মরিচ দেখতে চিকন ও লম্বা। স্বাদ, রং ও সৌন্দর্যে দেশের যেকোনো এলাকার মরিচের মধ্যে এটি অনন্য। অন্য ফসলের তুলনায় এই মরিচ আবাদ করে লাভবান হওয়ায় কৃষকেরা এই শিটি মরিচের আবাদ ধরে রেখেছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, বিরল উপজেলায় এখন পর্যন্ত ৪০ হেক্টর জমিতে এই শিটি মরিচের আবাদ হয়েছে এবং উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে শুকনা অবস্থায় দুই মেট্রিক টনেরও বেশি।
মরিচচাষি আব্দুর রৌফ জানান, প্রায় দেড় শ বছরের পুরোনো ঐতিহ্যবাহী এই মরিচের চাষ করছি। বাপ-দাদারা এই মরিচ চাষ করেছিল। তাই এখন আমাদের এলাকায় ধানের পরে শিটি মরিচ চাষের দিকে ঝুঁকছেন এলাকার কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোস্তফা হাসান ইমাম বলছেন, বিরল উপজেলার এই মরিচের সুনাম দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ায় কৃষকদের তাঁরা উৎসাহিত করছেন এই মরিচ চাষে। এ জন্য পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতাও করছে কৃষি অফিস। উপজেলায় গত বছরের চেয়েও এবার বেশি মরিচ উৎপাদন হবে বলে আশা করছেন এই কৃষি কর্মকর্তা।