যশোর প্রতিনিধি
যশোর শহর থেকে মাত্র সাড়ে তিন কিলোমিটার দূরে বালিয়াডাঙ্গা গ্রাম। অথচ স্বাধীনতার ৫০ বছরে পাকা রাস্তা পায়নি এ গ্রামবাসী। কাঁচা রাস্তার সঙ্গে ইট বিছানো যে সড়কটি রয়েছে, সেটিও বসানো হয়েছে অন্তত ২ দশক আগে। সেই সড়কের অবস্থাও বেহাল। এতে চরম বিপাকে রয়েছেন সেখানকার অন্তত ৪ হাজার পরিবার।
স্থানীয় বাসিন্দা ইদ্রিস আলী বলেন, ‘প্রায় দুই দশক আগে গ্রামটিতে প্রথম ইট বিছানো রাস্তা নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের কিছুদিন পরই সড়কটির অবস্থা বেহাল হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে একাধিকবার সরকার বদল হলেও সড়কটির সংস্কার হয়নি। এতে দীর্ঘদিনের ব্যবহৃত রাস্তাটিও চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রাস্তার অনেক অংশই ভেঙে দেবে গেছে। বর্ষাকালে রাস্তা অনেকটাই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। শীতকালে শিশির পড়ে রাস্তা পিচ্ছিল হওয়ায় বেড়ে যায় ঝুঁকি। মাঝে মধ্যেই ঘটে অনেক দুর্ঘটনা।’
সাইফুল ইসলাম নামের আরেক গ্রামবাসী জানান, ইট বিছানো এই সড়ক দিয়েই ট্রাক, পিকআপ, মাইক্রো, প্রাইভেট চলাচল করে। এতে রাস্তার অবস্থা আরও খারাপ হয়ে গেছে। বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। গ্রামটির ওপর দিয়ে আশপাশের আরও ৫ থেকে ৬ গ্রামের মানুষ প্রতিনিয়ত শহরে যাতায়াত করেন। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও সব সময় সড়কটি ব্যবহার করে। রোগী আনা-নেওয়াসহ গ্রামগুলোর মানুষের প্রায় সব কাজই এ রাস্তাগুলোর ওপর নির্ভরশীল।
এলজিইডি’র যশোর সদর উপজেলার উপপ্রকৌশলী মো. নাজমুল হুদা বলেন, ‘ওই এলাকার সড়কগুলোর ব্যাপারে আমরা একাধিকবার প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত বরাদ্দ না পাওয়ায় সেগুলো সংস্কার কিংবা নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরেও রয়েছে।’