বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়নের খামার উল্লাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে বসেছে হাট। সপ্তাহে দুদিন এ হাট বসে— শুক্র ও মঙ্গলবার। হাটের শোরগোলের মধ্যেই শ্রেণিকক্ষে চলে পাঠদান। এতে বিঘ্নিত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম।
এদিকে দুদিন হাট বসলেও মাঠের ভেতর কয়েকটি সবজির দোকান সবসময় খোলা থাকে। এ ছাড়া বিদ্যালয়ের মাঠের দুই পাশে রয়েছে চায়েরসহ বেশকিছু দোকান। ইতিমধ্যে হাট সরানোর জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী জিহাদ বলে, ‘স্কুল চলাকালীন হাট বসায় আমরা বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের কথা শুনতে পাই না। আমাদের পিটি করার স্থান দখল করে বাজার বসায় পিটি ও খেলাধুলা করতে পারছি না।’
অভিভাবক শামীম আরা বলেন, বাচ্চারা তো লেখাপড়া আর খেলাধুলার মধ্য দিয়ে শিখবে। স্কুলের মাঠে হাট বসানো হয়। ফলে শিশুরা খেলাধুলার মতো বিনোদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খুরশেদ আলম বলেন, ‘স্কুলের খেলার মাঠ নাই বললেই চলে। যে মাঠ আছে, সেখানে খেলাধুলা করতে পারে না শিশুরা। এর আগে আমাদের সংসদ সদস্য আব্দুল মমিন মণ্ডল ও ইউএনও আনিসুর রহমান এসে দেখে গেছেন। ইউএনওকে হাট সরানোর জন্য এমপি নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু মাসের পর মাস চলে যাচ্ছে অথচ হাট সরানো হচ্ছে না।
এ বিষয়ে হাটের ইজারাদার আব্দুল জলিল বলেন, ‘খামার উল্লাপাড়া বাজার হিসেবে প্রতিবছর সরকারিভাবে ইজারা দেওয়া হয়। এ বছর ৪ লাখ টাকা দিয়ে ইজারা নিয়েছি। বাজারের ভেতর জায়গা না থাকায় বিদ্যালয়ের ভেতর কিছু সবজির দোকান বসানো হয়েছে। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বলেছি; আমাদের বাজার বসানোর জায়গা নির্ধারণ করে দেওয়ার জন্য।’
ইউএনও আনিসুর রহমান বলেন, ‘বিদ্যালয়ের মাঠে হাটবাজার পরিচালনা করার বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’