হোম > ছাপা সংস্করণ

বেহাল আশ্রয়ণ, ছেড়ে গেছেন অর্ধেক বাসিন্দা

আবু হাসান সুমন, রামপাল (বাগেরহাট)

বাগেরহাটের রামপালে সংস্কারের অভাবে একটি আশ্রয়ণ প্রকল্পের অর্ধেক বাসিন্দা সেখান থেকে চলে গেছেন। আগামী বর্ষা মৌসুমের আগে সংস্কার না করলে সেখানে যাঁরা বসবাস করছেন, তাঁদেরও অন্যত্র চলে যেতে হতে পারে বলে জানিয়েছেন আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার বাঁশতলী ইউনিয়নের কালীগঞ্জ বাজারের পশ্চিম পাশে খাসজমিতে ভূমিহীনদের পুনর্বাসনের জন্য ২০০২ সালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এই আশ্রয়ণ প্রকল্পটি নির্মাণ করে। এ প্রকল্পে ৮০টি ভূমিহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা বলেন, নির্মাণের পর এ পর্যন্ত ব্যারাকগুলোর কোনো সংস্কার করা হয়নি। ঘরের কক্ষ বুঝিয়ে দেওয়ার সময় মেঝেতে কোনো মাটি ছিল না। ছিল না কোনো রান্নাঘর। কক্ষ পাওয়ার পর তাঁরা মেঝের মাটি ভরাটের পাশাপাশি রান্নাঘর নির্মাণ করেন।

আশ্রয়ণের আটটি ব্যারাকের সব ক’টি এখন বসবাসের অনুপযোগী। এ অবস্থায় বসবাস করতে না পেরে ৩৯টি পরিবার আশ্রয়ণ প্রকল্প ছেড়ে চলে গেছে। তাদের মধ্যে ৭-৮টি পরিবার কুমারখালী নদীর চরে খাসজমিতে বসবাস করছে।

আশ্রয়ণের সব ক’টি ব্যারাকের বেশির ভাগের টিনের চাল ফুটো হয়ে গেছে। ওপরের দিকে তাকালে আকাশ দেখা যায়। মরিচা পড়ে ক্ষয় হয়ে টিনের বেড়া ভেঙে গেছে। দরজা-জানালা জোড়াতালি দিয়ে কোনোমতে রাত কাটাচ্ছেন তাঁরা।

বৃষ্টি হলেই ঘরে পানি পড়ে। ফলে নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়। বৃষ্টির পানি ঠেকাতে প্রায় সব ঘরের বাসিন্দাদের টিনের চালে পলিথিন দিয়ে রাখতে হচ্ছে। ভারী বৃষ্টি হলে পলিথিনেও ঠেকায় না। বেশির ভাগ রান্নাঘর স্যাঁতসেঁতে। বৃষ্টি হলে রান্নাবান্না বন্ধ রাখতে হয়। শৌচাগার একবারেই নোংরা।

ব্যারাকের অবকাঠামোগত অবস্থা নড়বড়ে হওয়ায় আকাশে মেঘ দেখলেই বাসিন্দারা আতঙ্কে থাকেন। ঘূর্ণিঝড়ের সংকেত পেলে তাঁদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই।

বেশ কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, সামান্য বাতাস হলেই বেশির ভাগ ঘরের টিন উড়ে যেতে পারে। ঝড়ের খবর পেলে তাঁরা ভয়ে থাকেন।

বসবাসের অনুপযোগী হওয়ায় অর্ধেক পরিবার আশ্রয়ণ ছেড়ে চলে যাওয়ায় অর্ধেক ঘর পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে। শত সমস্যা মাথায় নিয়ে পড়ে থাকা বাসিন্দারা বলেন, তাঁদের যাওয়ার জায়গা না থাকায় এখানে পড়ে আছে। এর আগে কয়েকবার আশ্রয়ণ প্রকল্প সংস্কারের আশ্বাস দেওয়া হলেও তা করা হয়নি। ফলে তাঁরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

উপজেলার বাঁশতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল এ আশ্রয়ণ প্রকল্পের দুরবস্থার কথা উপজেলা পরিষদের গত মাসিক সমন্বয় সভায় তুলে ধরে আগামী বর্ষা মৌসুমের আগে সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পটি সংস্কারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রস্তাবনা পাঠিয়েছেন। পাস হলেই সংস্কার করা হবে।

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন