বালিয়াকান্দি (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
মোবাইল ফোনে পরিচয়। অতঃপর কথা চলে কিছুদিন। এরপর পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) পরিচয় দিয়ে কলেজছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে হলফনামার (এফিডেভিট) মাধ্যমে বিয়ে করেন উৎপল মণ্ডল (৪০)। প্রায় দুই মাস ধরে মাঝে মাঝেই শ্বশুরবাড়িতে যাতায়াত। কিন্তু পুলিশের পরিচয়পত্র দেখানোর পরও শ্বশুরবাড়ির লোকজনে সন্দেহ হয়।
গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার পর তাঁকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে ভুয়া এসআই পরিচয়ের কথা স্বীকার করেন। এমন ঘটনা ঘটেছে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের জিয়েলগাড়ীপাড়া গ্রামে।
গত শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নবাবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাদশা আলমগীর ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে বালিয়াকান্দি থানা-পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
অভিযুক্ত উৎপল মণ্ডল গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থানার দিস্তাই গ্রামের নিরাপদ মণ্ডলের ছেলে।
প্রতারণার শিকার ওই কলেজছাত্রীর পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী জানান, ফরিদপুরের সারদা সুন্দরী কলেজের ওই ছাত্রীর সঙ্গে মোবাইলে পরিচয় হয় অভিযুক্ত উৎপল মণ্ডলের। তিনি পুলিশের এসআই পরিচয় দেন ও পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড) দেখান।
একপর্যায়ে অবিবাহিত পরিচয়ে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে আদালতে হলফনামার মাধ্যমে বিয়ে করেন তাঁরা। ওই ছাত্রী তাঁর পরিবারের কাছে বিষয়টি বললে উৎপল মণ্ডলে ওই বাড়িতে যান এবং নিজেকে পুলিশের এসআই পরিচয় দেন। দুই মাস ধরে মাঝে মাঝেই শ্বশুরবাড়ি যেতেন। চাকরিতে পদোন্নতি হবে বলে দুই লাখ টাকাও নেন। বৃহস্পতিবার রাতে যাওয়ার পর তাঁদের সন্দেহ হলে উৎপল মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ভুয়া পরিচয়ের কথা স্বীকার করেন।
পরে শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে তাঁকে থানায় সোপর্দ করা হয়। তিনি আগেও ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বিয়ে করেছেন বলে জানান ভুক্তভোগীরা।
নবাবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাদশা আলমগীর বলেন, পুলিশ পরিচয়ে প্রতারককে স্থানীয় লোকজন ধরে তাঁকে খবর দেয়। পরে তাঁকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিকুজ্জামান বলেন, প্রতারণার শিকার পরিবারের লোকজন অভিযুক্তকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেছেন। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।