নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড ও হতাহতের জন্য দায়ী চার সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অবিলম্বে কঠোর শাস্তি এবং হতাহত ব্যক্তিদের পরিবারগুলোকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। এ দাবি জানিয়েছে পরিবেশ ও নাগরিক অধিকারবিষয়ক ১২টি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
দুর্ঘটনার দুই মাস (৬০ দিন) পূর্তিতে গতকাল মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনগুলোর নেতারা এ দাবি জানান। ১২টি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে বিবৃতিতে সই করেন। প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত আধুনিক নৌ যোগাযোগব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় নৌ-দুর্ঘটনা প্রতিরোধ অপরিহার্য উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, কোনো দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি না হলে ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতেই থাকবে। দুর্ঘটনার পর গঠিত সরকারি-বেসরকারি একাধিক তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে মালিক, মাস্টার, চালকসহ ১২ জনকে দায়ী করা হয়েছে। যাঁদের মধ্যে চারজন সরকারি কর্মকর্তা রয়েছেন। তাঁরা হলেন, এমভি অভিযান-১০ লঞ্চের ফিটনেস পরীক্ষাকারী কর্মকর্তা নৌপরিবহন অধিদপ্তরের সদরঘাট কার্যালয়ের প্রকৌশলী ও জাহাজ জরিপকারক মো. মাহবুবুর রশীদ ও পরিদর্শক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান এবং বিআইডব্লিউটিএর ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক (নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক) জয়নুল আবেদিন ও পরিবহন পরিদর্শক দীনেশ কুমার সাহা। অথচ দুর্ঘটনার দুই মাসেও দায়ী সরকারি কর্মকর্তারা বিচারের আওতায় আসেননি। এ ছাড়া অগ্নিকাণ্ডে হতাহত ব্যক্তিদের পরিবার আজও কোনো ক্ষতিপূরণ পায়নি।
গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর দিবাগত মধ্যরাতে ঢাকা থেকে বরগুনা যাওয়ার পথে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে আগুন লাগে। এতে অর্ধশতাধিক মানুষ নিহত ও অর্ধশত মানুষ নিখোঁজ হন। গুরুতর দগ্ধ হন ৭২ জন।