ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তিন দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে ২০ জনের বেশি আহত এবং বেশ কিছু বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাঙচুরের খবর পাওয়া গেছে।
সংঘর্ষ থামাতে ভাঙ্গা থানা-পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়ে। উপজেলার মানিকদহ ইউনিয়নের ব্রাহ্মণপাড়া, পুকুরিয়া ও মৃধাকান্দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার মানিকদহ ইউনিয়নের পুকুরিয়া বাজার ও বাসস্ট্যান্ডের আধিপত্য নিয়ে ওই তিন গ্রামের করিম মাতুব্বর ও কালাম মোল্লার দলের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। বৃহস্পতিবার সকালে করিম মাতুব্বরের দলের তুহিনকে বিপক্ষ দলের লোকজন দল ত্যাগে বাধ্য করার চেষ্টা করলে পরস্পরের মধ্যে হাতাহাতি হয়।
এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পরস্পরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে পুকুরিয়া গ্রামের সেকেন ভূঁইয়ার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ব্রাহ্মণপাড়া গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয় বলে অভিযোগ।
ভাঙ্গা থানা-পুলিশ খবর খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়ে। এ সময় দুই পক্ষের ২০ জনের বেশি লোক আহত হন। তাঁদের মধ্যে পাঁচজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন। তাঁরা হলেন উপজেলার ব্রাহ্মণকান্দা গ্রামের আবুল মিয়া (৫৩) নাজিরপুর গ্রামের সজল তালুকদার (৩০) ওমেদ আলী মোড়ল (৮০) ব্রাহ্মণপাড়া গ্রামের মো. আলমগীর খান (৩০) ও পুকুরিয়া গ্রামের রায়হান মজুমদার (২০)।
আহতদের মধ্যে মো. আলমগীর খানের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম রেজা বলেন, সংঘর্ষের খবর পাওয়া মাত্রই তাঁরা ঘটনাস্থলে যান। সংঘর্ষ থামাতে বেশ কয়েকটি রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।