মো. মফিজুর রহমান, ফরিদপুর
ফরিদপুরের বাজারে উঠেছে মুড়িকাটা পেঁয়াজ। তবে এবারও হতাশ চাষিরা। বেশি দামে বীজ ক্রয়, বৈরী আবহাওয়া আর সর্বশেষ ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে ফলন কম হয়েছে। এর ওপর আশানুরূপ দাম পাচ্ছেন না। সব মিলিয়ে হতাশ ফরিদপুরের পেঁয়াজচাষিরা।
ফরিদপুরের কৃষকেরা এখন পেঁয়াজ নিয়ে ব্যস্ত। কোথাও পেঁয়াজ তোলা হচ্ছে, কোথাও পেঁয়াজ কাটা হচ্ছে, কোথাও বা শুকানো হচ্ছে, আবার কোথাও বস্তাবন্দী করা হচ্ছে। এরপরে তা ট্রাকে তুলে নেওয়া হচ্ছে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায়।
ফরিদপুর সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পেঁয়াজচাষি আবু সাইদ চৌধুরী বারী বলেন, গত দুই থেকে তিন সপ্তাহ আগেই এই মুড়িকাটা পেঁয়াজ তোলা শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে হওয়া টানা বৃষ্টিতে মাটি ভিজে যাওয়ায় পেঁয়াজ তুলতে এবার দেরি হয়েছে।
আবু সাইদ চৌধুরী বারী বলেন, এ বছর বৈরী আবহাওয়ার কারণে মুড়িকাটা পেঁয়াজের ফলন কম হয়েছে। অন্যান্য বছর বিঘাপ্রতি ৬০ থেকে ৭০ মণ পেঁয়াজ হলেও এবার হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ মণ।
সদর উপজেলার চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের কৃষক হারুন মণ্ডল, আকবর আলীসহ কয়েকজন বলেন, মুড়িকাটা পেঁয়াজ ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে পাইকারি বিক্রি করছেন। যাঁদের ফলন ভালো হয়েছে তাঁদের খরচ উঠলেও অনেকের খরচের টাকা উঠবে না, লাভ তো দূরের কথা। পেঁয়াজের এই দাম ৪০ / ৪৫ টাকা হলেও তাঁদের লাভ হতো।
জেলা কৃষি বিভাগের দেওয়া তথ্যমতে, জেলায় এ বছর ৪ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজ আবাদের লক্ষ্য ছিল। প্রতিবছর লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেলেও এবারই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়নি।
ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. হযরত আলী বলেন, এবার কৃষকেরা লাভবান হবেন না। তবে লোকসানও হবে না। কৃষকদের শুধু খরচটাই উঠবে। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে যাঁদের খেত তলিয়ে গিয়েছিল তাঁদের লাভের মুখ দেখা কষ্টকর হবে।