হোম > ছাপা সংস্করণ

সয়াবিন তেলের সংকটে বেড়েছে সরিষার চাহিদা

রোবেল মাহমুদ, গফরগাঁও

গেল পবিত্র রমজান মাসে বাজারে সয়াবিন তেলের সংকট ও দাম বেড়ে যায়। এ কারণে এ সময়টাতে গফরগাঁও উপজেলায় সরিষার তেলের চাহিদা বাড়ে। ভোক্তারা ঝুঁকে পড়েন স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত সরিষার তেলের প্রতি।

গতকাল বুধবার উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এখনো সয়াবিন তেল সহজলভ্য হয়ে ওঠেনি। পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, পরিবেশকেরা বোতলজাত সয়াবিন তেল চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করতে পারছে না। খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা লিটার। সরকার লিটার প্রতি সয়াবিন তেলের দাম ৩৮ টাকা বাড়ালেও ভোক্তাপর্যায়ে এই দাম বেড়েছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত। বর্তমানে ভোক্তাপর্যায়ে বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯৮ টাকা লিটার।

বিক্রেতারা জানান, সয়াবিন তেলের দাম বাড়ার পর থেকে গফরগাঁওয়ে সরিষার তেলের চাহিদা বেড়েছে। এ সুযোগে দামও বেড়েছে অনেক।

বাজারে তিন ধরনের সরিষার তেল পাওয়া যায়। বিভিন্ন কোম্পানির তেল ছাড়াও স্থানীয়ভাবে মেশিনে ভাঙানো তেলের পাশাপাশি মেলে ঘানি ভাঙানো তেল।

বাজারে রাঁধুনি সরিষার তেল প্রতি লিটার ৩৬০, তীর ২৮০ টাকা ও সুরেশ সরিষার তেল প্রতি লিটার ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য ব্র্যান্ডের সরিষার তেলও বেশির ভাগ ৩০০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। আগে কোম্পানিভেদে প্রতি লিটার বোতলজাত সরিষার তেলের দাম রাখা হতো ২৮০ থেকে ২৯০ টাকা।

এদিকে ছয় মাস আগেও স্থানীয়ভাবে মেশিনে ভাঙা সরিষার তেলের দাম ছিল প্রতি কেজি ১৭০ টাকা। সেই তেল বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়। আর ঘানি ভাঙানো তেল মিলছে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকায়।

সামিউল নামের এক তরুণ পিকআপ ভ্যানের ওপর মেশিনে সরিষা থেকে তেল ভেঙে বিক্রি করেন। ক্রেতারা আগ্রহ ভরে কেনেন মেশিনে ভাঙানো সরিষার তেল। এই বিক্রেতা বলেন, কয়েক বছর ধরে সাপ্তাহিক পৌর হাটে পিকআপ ভ্যান নিয়ে সরিষা দানা থেকে সরাসরি মেশিনে তেল ভাঙিয়ে বিক্রি করেন। তিনি ৫০ থেকে ৬০ কেজি তেল বিক্রি করেন।

উপজেলা সদরের খলিল ওয়েল মিল, বিসমিল্লাহ, আহম্মদ, ঢালী অরগানিক, খিদমাহ পিওরিটিসহ বেশ কয়েকটি মেশিনে ও ঘানি ভাঙা তেলের কেন্দ্র রয়েছে। কাচারি রোডের খলিল মিয়া বলেন, ‘আগে প্রতি দিন ৪০ থেকে ৫০ কেজি সরিষার তেল বিক্রি করতাম, এখন ৭০ কেজির ওপরে বিক্রি হয়। বর্তমানে সরিষার বাজার চড়া তাই লাভ কম হয়।’

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাইনুদ্দিন খান মানিক বলেন, সয়াবিন তেলের তুলনায় সরিষার তেল স্বাস্থ্যসম্মত। কেমিক্যালমুক্ত ঘানি বা মেশিনে ভাঙানো খাঁটি সরিষার তেল গ্যাস্ট্রিকের জটিলতা ও রক্তে চর্বি দূর করে।

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন