হোম > ছাপা সংস্করণ

মঞ্চে ৭১-এর গণহত্যার দৃশ্য

বাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাটের রামপালে গণহত্যাবিষয়ক নাটক ‘ডাকরা ও তারপর’ মঞ্চস্থ করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে উপজেলার ডাকরা বধ্যভূমিসংলগ্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এই নাটক মঞ্চায়ন করা হয়। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় জেলা শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে এই নাটক করা হয়। এর আগে নাটকের পটভূমি সম্পর্কিত এক আলোচনা সভা হয়।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের পরিচালক আফসানা করিম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ মোয়াজ্জেম হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কবীর হোসেন, জেলা কালচারাল অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নাট্যকার শামসুল হাদীর রচনা ও নির্দেশনায় মঞ্চায়িত এই নাটকে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন বেলাল হোসেন বিদ্যা। এ ছাড়া অর্ধশতাধিক অভিনেতার পাশাপাশি ডাকরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী এই নাটকে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করে।

এক ঘণ্টা ৪০ মিনিটের এই নাটকের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে রামপাল উপজেলার ডাকরা এলাকায় সংগঠিত গণহত্যা ফুটিয়ে তোলা হয়। রাজাকার বাহিনীর হাতে নিহতদের নিয়ে স্মৃতিচারণ করা হয়। বেঁচে যাওয়া ভাগ্যবানরা সেদিনের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দেন। ৫০ বছর পরে হলেও এই নাটক দেখে স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন স্বজনহারা ডাকরা ও আশপাশের লোকেরা।

প্রত্যক্ষদর্শী শিশির মজুমদার বলেন, ভারতে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা হিন্দু সম্প্রদায়ের সহস্রাধিক মানুষ ডাকরা এলাকায় নোয়া ঠাকুরের বাড়িতে আশ্রয় নেন। কিন্তু রাজাকার রজ্জব আলী ফকিরের বাহিনী দুই দিক থেকে নৌকায় এসে এলাকায় ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালায়। সেদিনের ঘটনা মনে পড়লে আজও গা শিওরে ওঠে। কষ্টে চোখে জল চলে আসে।

নাট্যকার শামসুল হাদী বলেন, খুবই অল্প সময়ের এই নাটকে ডাকরা গণহত্যার সম্পূর্ণ ঘটনা তুলে ধরতে চেষ্টা করেছেন। মুক্তিযুদ্ধ ও গণহত্যার ইতিহাস বর্তমান প্রজন্মকে জানাতে এই চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ আজিজুর রহমান বলেন, গণহত্যাবিষয়ক এই নাটক বর্তমান প্রজন্মকে ১৯৭১ সালে ঘটে যাওয়া নারকীয় ঘটনা জানতে সহযোগিতা করবে।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের পরিচালক আফসানা করিম বলেন, ‘আমরা চাই এই নাটকের মাধ্যমে প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে সেই নারকীয় হত্যার ঘটনা খোদাই করে দিতে। যাতে সবাই মুক্তিযুদ্ধ ও গণহত্যার সঠিক তথ্য মনে রাখতে পারে।’

পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার বলেন, ‘এই নাটকের মাধ্যমে যাঁদের আত্মত্যাগে আমরা এই স্বাধীনতা পেয়েছি সে বিষয়টি আমার জানতে পারলাম।’

১৯৭১ সালের ২১ মে বাগেরহাটের রজ্জব আলী ফকিরের রাজাকার বাহিনী রামপাল উপজেলার পেড়িখালী ইউনিয়নের ডাকরা গ্রামে ব্যাপক গণহত্যা চালায়। গুলি ও জবাই করে তারা সেদিন প্রায় ছয় শতাধিক সাধারণ মানুষকে হত্যা করে।

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন