মুফতি খালিদ কাসেমি
জীবিকা উপার্জন মানুষের জীবনের অপরিহার্য অংশ। এটি মানুষের খাদ্য, বাসস্থান এবং পোশাকের মতো মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করে। ব্যবসা-বাণিজ্য জীবিকা উপার্জনের অন্যতম সেরা মাধ্যম। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, একবার নবীজি (সা.)-কে জিজ্ঞেস করা হলো, ‘হে আল্লাহর রাসুল, কোন ধরনের উপার্জন সবচেয়ে উত্তম?’ তিনি বললেন, ‘নিজের হাতের কাজ (কায়িক শ্রম) এবং সব ধরনের শুদ্ধ বেচাকেনা।’ (মুসনাদে আহমদ) ইসলাম ব্যবসায় দারুণভাবে উদ্বুদ্ধ করেছে। অলসতা পরিহার করে কর্মোদ্যম হওয়ার তাগিদ দিয়েছে। কোরআনের বিভিন্ন জায়গায় ব্যবসাকে আল্লাহর অনুগ্রহ বলা হয়েছে। এরশাদ হচ্ছে, ‘এরপর নামাজ শেষ হয়ে গেলে তোমরা জমিনে ছড়িয়ে পড়ো এবং আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধান করো এবং আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ করো, যাতে তোমরা সফলকাম হও।’ (সুরা জুমুআ: ১০) পবিত্র কোরআনের ভাষায় আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধান থেকে ব্যবসা বা অন্য কোনো উপায়ে জীবিকা উপার্জনকে বোঝানো হয়েছে।
আকিদা-বিশ্বাস ও ইবাদতের মতো ব্যবসা-বাণিজ্যও দ্বীনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কোরআন, হাদিস এবং ফিকহে এর বিস্তারিত বিধানাবলি বর্ণিত হয়েছে। অনেক মুসলিম গুরুত্বসহকারে নামাজ-রোজা আদায় করেন তবে উপার্জনের ক্ষেত্রে হালাল-হারাম ও বৈধ-অবৈধ বাছবিচার করেন না। এটি অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়।
হাদিসে সৎ ব্যবসায়ীদের মর্যাদার কথা বর্ণিত হয়েছে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘সত্যবাদী ও বিশ্বস্ত ব্যবসায়ীরা (আখেরাতে) নবীগণ, সিদ্দিকগণ ও শহীদগণের সঙ্গে থাকবে।’ (তিরমিজি) অন্য হাদিসে এসেছে, ‘কেয়ামাতের দিন ব্যবসায়ীদের গুনাহগাররূপে ওঠানো হবে। কিন্তু যেসব ব্যবসায়ী আল্লাহ তাআলাকে ভয় করে, সঠিকভাবে বেচাকেনা করে এবং সততা ধারণ করে, তারা এর ব্যতিক্রম।’ (তিরমিজি)
শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক,শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক