তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় কমিউনিটি ক্লিনিকে ৬০০ প্রসূতির স্বাভাবিকভাবে সন্তান প্রসব করিয়ে প্রশংসিত হচ্ছেন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) মেহেরুন নেহার লিলি। স্বাভাবিকভাবে সন্তান প্রসবে সহযোগিতার কারণে তাঁর প্রতি স্থানীয়দের আস্থা বেড়েছে।
২০১১ সালে সিএইচসিপি হিসেবে চাকরিতে যোগ দেন লিলি। তিনি তেঁতুলিয়া হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসার ওপর প্রশিক্ষণ নিয়ে শুরু করেন এই চিকিৎসা।
উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নে কাজিপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকটি তেঁতুলিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ২০ কিলোমিটার ও জেলা আধুনিক সদর হাসপাতাল থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
২০১৪ সালে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে কমিউনিটি স্কিল বার্থ অ্যাটেনডেন্ট (সিএসবিএ) বিষয়ে ছয় মাসের প্রশিক্ষণ নিয়ে পরের বছর থেকেই অন্য স্বাস্থ্যসেবার পাশাপাশি নরমাল ডেলিভারি কার্যক্রম শুরু করেন লিলি। প্রথম ডেলিভারি করানোর কাজটি করেছিলেন ভয়ে ভয়ে, এক ঘণ্টার চেষ্টায় স্বাভাবিক বাচ্চা প্রসব করানোর পর ছড়িয়ে পড়ে তাঁর কাজের সুনাম। এরপর আট বছরে ৬০০ নরমাল ডেলিভারি করানোর কাজ করে এলাকার অসহায় মানুষের কাছে হয়ে ওঠেন আস্থার প্রতীক।
এ বিষয়ে মেহেরুন নেহার লিলি বলেন, ‘প্রথম প্রথম আমার প্রচণ্ড ভয় লাগত। ভাবতাম আমার দ্বারা এ জটিল কাজ কীভাবে সম্ভব হবে। ফরিদা আক্তার নামের এক নারীর প্রথম ডেলিভারি সম্পন্ন হওয়ার পর থেকে আমার সাহস বেড়ে যায়। ডেলিভারি করতে পারলে আমার খুব আনন্দ হয়।’
লিলি আরও বলেন, ‘ভালোবাসা দিবসে আল্পনা বেগম নামের এক প্রসূতির নরমাল ডেলিভারি করিয়ে ৬০০ পূর্ণ করেছি।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আবুল কাশেম বলেন, ‘প্রত্যন্ত অঞ্চলে কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাভাবিক সন্তান প্রসবে ৬০০ পূর্ণ হওয়াটা অত্যন্ত গৌরবের। উত্তরাঞ্চলে এ রকম রেকর্ড খুবই কম। সিএইচসিপি মেহেরুন নেহার লিলির এই রেকর্ড প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারির একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। করেছে।’