হোম > ছাপা সংস্করণ

ফকিরহাটে পানের দরপতন মুখ মলিন কৃষকের

ফকিরহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি

পানের দরপতনসহ নানাবিধ সমস্যায় পড়েছেন ফকিরহাটের পানচাষি ও পান ব্যবসায়ীরা। ছত্রাকজনিত নানা রোগ, কুয়াশা ও তীব্র শীতে পান পেকে যাওয়া, শ্রমিকদের মজুরিসহ সার কীটনাশক এবং অন্যান্য উপকরণের দাম বাড়ায় পান উৎপাদনের খরচ বেড়েছে বলে জানান পানচাষিরা। এদিকে বাজারে দাম কমে যাওয়ায় সর্বস্বান্ত হয়ে অনেকেই পান চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।

গতকাল সোমবার ফকিরহাট টাউন নোয়াপাড়া বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, বর্তমানে ৮০টি পান মাত্র ৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ২০২১ সালের ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে এ বাজারে বড় আকারের প্রতি পোন পান ২৬০ টাকা দরে বিক্রি হলেও এবার আকার ভেদে ৩০ টাকা থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া শীতে পেকে যাওয়া বড় সাইজের পান পোন প্রতি ১০ টাকা ও মাঝারি আকারের পান ৫ টাকা পোন দরে বিক্রি হচ্ছে। এ হিসাব অনুযায়ী পানের দাম গত বছরের তুলনায় অর্ধেকের বেশি কমেছে। অথচ খরচ বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি। শীতে সাধারণত পানের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকেরা সারা বছরের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে এ সময় অপেক্ষা করেন। কিন্তু বৈরী আবহাওয়া ও বিদেশে পান রপ্তানি বন্ধ হওয়ায় এ বছর পানের দামে ধস নেমেছে।

টাউন নোয়াপাড়া পানের বাজারের ইজারাদার মোশারেফ হোসেন ওরফে মোশা মেম্বার বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে পান রপ্তানি বন্ধ হওয়ায় পাইকারদের পান কেনার চাহিদা কমে গেছে। তা ছাড়া খারাপ আবহাওয়ায় বরজে পান নষ্ট হওয়ায় চাষিরা দ্রুত পান কেটে বাজারে নিয়ে আসছেন। পাইকার কম থাকায় ও জোগান বেশি হওয়ায় পানের দাম কমে গিয়েছে।’

নোয়াপাড়া গ্রামের পানচাষি শেখ শওকত আলী ও লখপুর এলাকার সুশান্ত দাস বলেন, ‘বরজের মাচা তৈরির জন্য গত বছর ১০০ ছনের আঁটি কিনেছি ৯০০ টাকায় যা এবার ১ হাজার ৪০০ টাকা। শলার দাম আঁটিতে ৫০ টাকা, উলু ও খাসিয়ার দাম ৫০-১০০ টাকা বেড়েছে। শ্রমিকদের মজুরি গত বছরের তুলনায় ২০০-৩০০ টাকা বেড়েছে।’

ফকিরহাট বাজারের সরকারি বিসিআইসি সার ডিলার ও মেসার্স আল শাহীন ট্রেডার্সের পরিচালক মো. শাহীন আলম জানান, সরকারের দেওয়া সারের দাম না বাড়লেও পান চাষের জন্য প্রয়োজনীয় সারের দাম ৫-১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ফলে পান উৎপাদন খরচ ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ বেড়েছে।

শাহীন আলম আরও বলেন, ‘আমার দোকান থেকে অনেক চাষি বাকিতে সার-কীটনাশক কিনেছিলেন। কিন্তু লোকসানের মুখে তাঁরা দেনা শোধ করতে পারছেন না। অনেক চাষি এনজিও ও ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে পান চাষ করে বিপদে পড়েছেন।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নাছরুল মিল্লাত বলেন, ‘উপজেলার পানচাষিরা বহুমুখী সংকটে রয়েছেন। বাজারে পানের ভালো দাম পেলে তাঁরা বৈরী আবহাওয়াজনিত ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারতেন। কিন্তু দাম না থাকায় তা সম্ভব হচ্ছে না। কবে এ সংকট কাটিয়ে উঠতে পানচাষিদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন