হোম > ছাপা সংস্করণ

শতভাগ নিশ্চিত, পদক জিতবে বাংলাদেশ

নাজিম আল শমষের

চায়নিজ তাইপেকে হারিয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কাবাডির হ্যাটট্রিক শিরোপা জিতেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। এবার বাংলাদেশের লক্ষ্য আগামী সেপ্টেম্বরে এশিয়ান গেমস ও আগামী বছর বিশ্বকাপ কাবাডিতে দেশকে সাফল্য এনে দেওয়া। বঙ্গবন্ধু কাবাডিতে দলের সাফল্য আর পরের অভিযান নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশ কাবাডি দলের ভারতীয় কোচ সাজুরাম গোয়াত। তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন নাজিম আল শমষের।

প্রশ্ন: টুর্নামেন্টে দলের পারফরম্যান্স নিয়ে কতটা খুশি?
সাজুরাম গোয়াত: তৃতীয়বারের মতো বঙ্গবন্ধু কাবাডির শিরোপা জয়। আমার ছেলেরা ফাইনালে অসাধারণ খেলেছে। ছেলেদের নিয়ে আমি ভীষণ গর্বিত। 

প্রশ্ন: দলের এই পারফরম্যান্স আপনাকে বিশ্বকাপে ভালো করতে কতটা আশা জোগাচ্ছে? যেখানে ভারত, পাকিস্তান, ইরানের মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষ আছে।  
সাজুরাম: ভারত আমাদের চেয়ে হয়তো এগিয়ে কিন্তু আমাদের ছেলেরাও অনেক উন্নতি করেছে। গত বছর এই টুর্নামেন্টে ছেলেরা খুব আহামরি কিছু করেনি কিন্তু এবার তারা দারুণ খেলেছে। তাদের খেলা দেখে আমি ভালো কিছু আশা করতেই পারি। আমার তো মনে হয় বিশ্বকাপে একটা পদক জিততেও পারি। 

প্রশ্ন: এই বছর এশিয়ান গেমস আছে। এশিয়ান গেমসে কি পদক জেতা সম্ভব? 
সাজুরাম: এশিয়ান গেমসে একটা পদক জেতা খুব সম্ভব। আমি সোনা-রুপার আশা করছি না; তবে ব্রোঞ্জ জয় কঠিন কিছু নয়। এটাই আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য। আমি শতভাগ নিশ্চিত, বাংলাদেশ এশিয়ান গেমসে পদক জিতবে। বিশ্বকাপেও জিতবে। আমি আমার দল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। তাদের আমি তিন বছর ধরে দেখছি। তারা দারুণ উন্নতি করেছে এই সময়ে। 

প্রশ্ন: বঙ্গবন্ধু কাবাডির তিনটি পর্ব হয়ে গেল। অথচ ভারত, পাকিস্তানের মতো বড় দলগুলো এখন পর্যন্ত এই টুর্নামেন্টে খেলল না। এই দলগুলো না থাকায় কি আফসোস হয়?
সাজুরাম: যে দলগুলোর কথা বললেন, তারা এবার টুর্নামেন্টে খেলত। কিন্তু এবার টুর্নামেন্ট বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব হওয়ায় এদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। ভারত, পাকিস্তান, ইরান এরই মধ্যে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করে ফেলেছে। আয়োজকেরা তাদের তাই আমন্ত্রণ জানায়নি। তারা চেয়েছিল, এশিয়ার অন্য দলগুলো যেন সহজেই এখানে খেলে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করতে পারে। পরেরবার এই সমস্যা নেই। পরের আসরে দেখবেন, সব বড় দলই এখানে খেলছে।  

প্রশ্ন: র‍্যাঙ্কিংয়ে ভারত শীর্ষে, বাংলাদেশ আছে পাঁচে। ইরান, পাকিস্তান, দক্ষিণ কোরিয়াও বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে। বড় দলগুলোর সঙ্গে র‍্যাঙ্কিংয়ের পার্থক্যটা কীভাবে কমিয়ে আনা যায়?
সাজুরাম: ফেডারেশনের উচিত দলকে ভারতে প্রশিক্ষণে পাঠানো। ফাঁকা সময়ে বড় দলগুলোর সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচও খেলানো উচিত। আমার দলের অন্য কোনো সমস্যা নেই, শুধু একটাই সমস্যা আছে। তারা আন্তর্জাতিক ম্যাচ কম খেলে। তাদের ম্যাচের অভিজ্ঞতা কম। ভারতের খেলোয়াড়েরা ঘরোয়া ম্যাচ খেলে প্রচুর। নিজেদের সমস্যা নিয়ে তারা ভালো ধারণা পায়। বাংলাদেশকে প্রচুর ম্যাচ খেলতে হবে। তিন বছর ধরে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে বাংলাদেশের উন্নতি হয়েছে কি না আপনারাই বলুন! 

প্রশ্ন: এশিয়ান গেমসে পদক জিততে চান। কিন্তু প্রস্তুতি নিয়ে কী ভাবছেন?
সাজুরাম: আমরা সম্ভবত রোজার পর অনুশীলন শুরু করব। ভারতে আমাদের এক মাসের একটা অনুশীলন ক্যাম্প করার কথা। তারপর আমরা দেশে আসব, এরপর আবারও ভারতে গিয়ে ম্যাচ খেলব। ছেলেদের অভিজ্ঞতার প্রয়োজন। রক্ষণে কিছুটা সমস্যা থাকলেও মূল সমস্যা ম্যাচ না খেলা আর ধৈর্য না থাকা। তারা যত ম্যাচ খেলবে, তত বেশি আত্মবিশ্বাস পাবে।

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন