বাগেরহাট প্রতিনিধি
আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমানকে জামিন দিয়েছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে তিনি কারাগার থেকে বের হন।
এর আগে দুপুরে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ আদালতের বিচারক মোহা. রবিউল ইসলাম শুনানি শেষে ১৫ দিনের জন্য হাবিবুর রহমানের জামিন মঞ্জুর করেন। প্রায় দেড় মাস পরে পৌর মেয়র জামিনে কারামুক্ত হওয়ায় আনন্দ মিছিল করেছেন তাঁর সমর্থকেরা।
এর আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি দুদকের করা পৃথক দুটি অর্থ আত্মসাতের মামলায় আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন পৌর মেয়র খান হাবিবুর রহমান ও পৌরসভার সাবেক সচিব মোহাম্মদ রেজাউল করিম। তাঁদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। সেই থেকে তিনি জেলা কারাগারে ছিলেন। অপর আসামি পৌরসভার সাবেক সচিব মোহাম্মদ রেজাউল করিম এখনো জেলা কারাগারে রয়েছেন।
খান হাবিবুর রহমান বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক।
জেলা কারাগারের সুপার এ এস এম কামরুল হুদা জানান, পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমানের জামিনের আদেশ কারাগারে পৌঁছানোর পর গতকাল বিকেল ৪টার দিকে তিনি কারাগার থেকে বের হয়েছেন।
দুদকের আইনজীবী মিলন কুমার ব্যানার্জি বলেন, বিচারক আইনজীবীদের কাছ থেকে অসুস্থতার ডাক্তারি সনদপত্র দেখে মানবিক কারণে মেয়রের চিকিৎসার জন্য ১৫ দিনের জামিন মঞ্জুর করেছেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী ড. এ কে আজাদ ফিরোজ টিপু বলেন, আদালত ১৫ দিনের জন্য পৌর মেয়রের জামিন মঞ্জুর করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ৭ অক্টোবর বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমানের দুর্নীতি অনুসন্ধানে নামে দুদকের খুলনা কার্যালয়। ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর বাগেরহাট পৌরসভায় নিয়ম বহির্ভূতভাবে ১৭ জনকে নিয়োগ দিয়ে সরকারি কোষাগার থেকে ১ কোটি ২৬ লাখ ৮৮ হাজার ৮০০ টাকা আত্মসাতের অপরাধে মেয়রসহ ১৮ জনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়।
প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসহ বাগেরহাটে আবাহনী ক্লাবের কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ ও বাগেরহাট ডায়াবেটিক হাসপাতাল কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ না করে এক কোটি টাকা উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগে পৌর মেয়র খান হাবিবুর রহমান ও পৌরসভার সাবেক সচিব মোহাম্মদ রেজাউল করিমকে আসামি করে আরও একটি মামলা করা হয়।