হোম > ছাপা সংস্করণ

লোকজ মেলায় মুগ্ধ দর্শনার্থীরা

টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ) ও ফকিরহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি

মুজিব বর্ষ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া ও বাগেরহাটের ফকিরহাটে লোকজ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। প্রথমবারের মতো এ ধরনের মেলা বেশ উপভোগ করছেন দর্শনার্থীরা। লোকজ মেলায় প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দর্শনার্থী উপচে পড়া ভিড়। মেলায় এসে মুগ্ধ তাঁরা। পরিচিত হচ্ছেন বিভিন্ন অঞ্চলের লোকজ সংস্কৃতির সঙ্গে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২ তম জন্মবার্ষিকী ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে টুঙ্গিপাড়ার সরকারি শেখ মুজিবুর রহমান কলেজ মাঠে গত সোমবার ছয় দিনব্যাপী লোকজ মেলা শুরু হয়। আজ শনিবার পর্যন্ত চলবে এই মেলা। ফকিরহাটের কে আলী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে গত ১৮ মার্চ সপ্তাহব্যাপী এই মেলা শুরু হয়। গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় র‍্যাফেল ড্র অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মেলার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

টুঙ্গিপাড়ায় মেলায় সরকারি-বেসরকারি মোট ১০০টি স্টল রয়েছে। দৃষ্টিনন্দন স্টলগুলো তৈরি করা হয়েছে বাঁশ, কাঠ, ছনসহ বিভিন্ন পরিবেশবান্ধব উপকরণ দিয়ে। প্রথমে মেলা প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে শুরু হয়ে রাত ১০টা পর্যন্ত চললেও বর্তমানে বেলা ১১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলছে। গত ১৭ মার্চ জাতির পিতার সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সের ১ নম্বর ফটকের সামনে আয়োজিত ‘টুঙ্গিপাড়া: হৃদয়ে পিতৃভূমি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই মেলার উদ্বোধন করেন।

ফকিরহাটে মেলায় বিভিন্ন পণ্যের প্রায় ৫০টি স্টল তৈরি করা হয়। মেলায় পুতুল নাচ, নাগর দোলা, চরকি দোল রেলগাড়ি, দোলনা খেলা, নৌকা দোল, হাঁড়ি ভাঙা, চেয়ার সিটিং, বালিশ কাহার, রশি টানাসহ গ্রাম বাংলার বিভিন্ন খেলা আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন ধরনের মৃৎ ও কারু শিল্পের বিভিন্ন পণ্যও বিক্রি হয়। এ ছাড়া প্রতিদিন সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হয়।

গোপালগঞ্জ সদর থেকে আসা বাদ্যযন্ত্রের কারিগর সুনির্মল দাস বাপি বলেন, তাঁর স্টলে ৬৫ ধরনের বাদ্যযন্ত্র আছে। সবই তাঁর হাতে তৈরি। মেলা উপভোগের পাশাপাশি দর্শনার্থীরা বাদ্যযন্ত্রের প্রতি আকর্ষিত হচ্ছেন। এ ছাড়া দর্শনার্থীদের লোকজ বাদ্যযন্ত্রের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম হেদায়েতুল ইসলাম বলেন, কালের বিবর্তনে লোকসংস্কৃতি বিলুপ্ত হওয়ার পথে। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত লোকজ মেলায় হারিয়ে যাওয়া লোকসংস্কৃতি আবার প্রাণ পেয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে মেলা হয়, তবে এই মেলা ভিন্ন রূপের।

গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেন, ‘আমাদের ছেলে-মেয়েদের আসলে জানা উচিত যে তাঁদের পূর্বপুরুষ বা তার পূর্বপুরুষের ঐতিহ্য ও বিনোদনের জায়গাগুলো কেমন ছিল। সময়ের পরিক্রমায় হারিয়ে যাওয়া ইতিহাসকে কোনো জাতি ধরে রাখতে না পারলে সেই জাতির পক্ষে নতুন ইতিহাস তৈরি করা সম্ভব নয়। পরবর্তী প্রজন্মকে জ্ঞাননির্ভর একটি জাতি হিসেবে তৈরি করার উদ্দেশ্যে আমাদের এই উৎসব আয়োজন।’

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন