মহালছড়ি (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি
খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে ৩০০ বিঘা জমির গাঁজা ধ্বংস করেছে সেনা টহল দল। গতকাল শনিবার ভোর সাড়ে ৫টায় উপজেলার দেবতা পুকুর এলাকায় টহল চলাকালীন সময়ে ওই গাঁজা খেতের সন্ধান পান মহালছড়ি সেনা জোনের সদস্যরা। পরে অভিযান চালিয়ে গাঁজা খেত ধ্বংসসহ জড়িত থাকার অভিযোগে ১ জনকে আটক করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, দুর্গম পাহাড়ে গাঁজার খেত গড়ে তুলেছে মাদক ব্যবসায়ীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে খাগড়াছড়ি রিজিয়নের অধীনে মহালছড়ি সেনা জোনের উপ-অধিনায়ক মেজর দিদারুল ইসলামের নেতৃত্বে টহল দল অভিযান চালায়। পরে পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে গাঁজা খেত পুড়িয়ে দেয় স্থানীয় প্রশাসন।
সেনাবহিনীর বাহিনীর তথ্য সূত্রে জানা যায়, গহিন অরণ্য ও দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় যেখানে জনবসতি তুলনামূলক কম। এ রকম জায়গায় নিরাপদ এলাকা হিসেবে বেছে নিয়েছে মাদক কারবারিরা। তবে সেনাবাহিনী নজরদারির ও শক্ত গোয়েন্দা কার্যক্রমে গাঁজা খেতের সন্ধান পায় মহালছড়ি জোন।
সেনাবাহিনীর ভাষ্য মতে, গাঁজা চাষের সঙ্গে ৭ জন জড়িত। এর মধ্যে দেবতা পুকুর এলাকার মৃত কলারাম ত্রিপুরার ছেলে কদু ত্রিপুরা (৪০) হচ্ছেন জমির মালিক। গাঁজা চাষের সঙ্গে জড়িত ৩ জন হলেন বিষ্ণু কুমার ত্রিপুরার ছেলে মুক্ত কুমার ত্রিপুরা (৩০), চিনোত্ত দত্ত ত্রিপুরার ছেলে সুদত্ত কুমার ত্রিপুরা (৩০) ও মঞ্জয় ত্রিপুরা (৩৫)। এরা সবাই দেবতা পুকুর পাড়ার বাসিন্দা। এ ছাড়া গাঁজা চাষের শ্রমিকেরা হলেন দেবতা পুকুর পাড়ার মৃত মতি কুমার ত্রিপুরার ছেলে মায়া কুমার ত্রিপুরা (২২) ; হেরন ত্রিপুরা (৪৫) ও শান্তি ত্রিপুরা (২৫)। এদের মধ্যে মায়া কুমার ত্রিপুরাকে আটক করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।
মহালছড়ি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শেখ ইফতেখার মাহামুদ ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন লোক চক্ষুর আড়ালে গ্রামের লোক জন গাঁজার চাষ করেছে।
মেজর দিদারুল ইসলাম বলেন, মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য মহালছড়ি জোনে এটি একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস মাত্র। ভবিষ্যতেও এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।