হোম > ছাপা সংস্করণ

৫ বালুমহাল থেকে ৫০ কোটি টাকার বালু লুট

মিলন উল্লাহ, কুষ্টিয়া

কুষ্টিয়ার পাঁচটি বালুমহাল থেকে প্রভাবশালী চক্রের বিরুদ্ধে চলতি অর্থবছরে ৫০ কোটি টাকার বালু লুটে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে সাড়ে ৫ কোটি টাকার রাজস্ব হারিয়েছে সরকার। গত অর্থবছরে এসব মহাল থেকে পাওয়া রাজস্বের হিসাব অনুযায়ী এ তথ্য মিলেছে।

এদিকে এসব মহাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ থানায় সাধারণ ডায়েরিসহ (জিডি) জেলা প্রশাসনকে চিঠি দেয়। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি।

জেলার রাজস্ব বিভাগ বলছে, গত অর্থবছরের তুলনায় প্রত্যাশিত অর্থ না পাওয়ায় ওই পাঁচটি বালুমহাল এবার ইজারা দেওয়া হয়নি। অভিযোগ উঠেছে, টেন্ডার সিন্ডিকেটের সঙ্গে রাজস্ব বিভাগসংশ্লিষ্ট কিছু অসাধু ব্যক্তির যোগসাজশে ওই পাঁচ মহাল থেকে বালু লুট চলছে।

কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত অর্থবছরে জয়নাবাদ, রাহিনীপাড়া ও ছেঁউড়িয়া মৌজার বালুমহাল ইজারা দিয়ে সরকারের রাজস্ব আয় হয় ৪ কোটি ৫০ লাখ ১০ হাজার টাকা। সে সময় ইজারাদার ছিল সদর উপজেলার যুগিয়া গ্রামের মাহবুব আলমের মালিকানাধীন মুক্তা এন্টারপ্রাইজ। চলতি অর্থবছরে সরকারি রাজস্ব বিভাগের কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব মূল্য ধরা হয়েছিল ৪ কোটি ৯৫ লাখ ১১ হাজার টাকা। কিন্তু এই মূল্যে কেউ বালুমহালগুলো ইজারা নেয়নি।

অভিযোগ রয়েছে, চলতি অর্থবছরে উত্তর মূলগ্রাম, হিজলাকর, এনায়েতপুর ও গোবিন্দপুর মৌজা এবং তেবাড়িয়া-শেরকান্দি মৌজার বালুমহাল এস এম এন্টারপ্রাইজ এবং মেসার্স মাইক্রো ডায়নামিক প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দিয়ে সরকার রাজস্ব আয় করে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা।

অথচ ওই দুটি প্রতিষ্ঠানই রাজস্ব বিভাগের নীরব বা মৌন সমর্থন নিয়ে ইজারাবিহীন আরও পাঁচটি বালুমহাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের পর বিক্রি করে অর্ধশতকোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। তাতে সরকার ৫ কোটি ৫০ লাখ ১৩ হাজার টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়।

তবে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ অস্বীকার করে মেসার্স মাইক্রো ডায়নামিকের মালিক পারভেজ আনোয়ার বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ অসত্য ও বানোয়াট।’

রাজস্ব না দিয়ে মহাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের প্রতিকার চেয়ে একাধিক জিডি করাসহ জেলা প্রশাসনকে চিঠি দেওয়ার বিষয়টি কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান নিশ্চিত করেছেন।

কুষ্টিয়া সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিরুল ইসলাম বলেন, ‘অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে কুষ্টিয়ার মীর মশাররফ হোসেন সেতুটি ঝুঁকিতে রয়েছে। এ জন্য আমরা জেলা প্রশাসক বরাবর চিঠিছি। পরে সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালায়। বিষয়টি নিয়ে আমরা প্রতিনিয়ত জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।’

কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব না আসায় জেলার কিছু বালুমহাল ইজারা দেওয়া হয়নি। সেগুলো থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রি করায় ইতিমধ্যে একাধিকবার ভ্রাম্যমাণ আদালত দিয়ে অভিযান চালিয়ে জেল-জরিমানা করা হয়েছে।

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন