হোম > ছাপা সংস্করণ

টাকা আত্মসাৎ করাই যেন ‘নেশা’ শিক্ষা অফিসের দুই কর্মকর্তার

ইয়াহ্ইয়া মারুফ, সিলেট

সুনামগঞ্জ জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম ও জেলা প্রশিক্ষণবিষয়ক কর্মকর্তা সারোয়ার জাহানের বিরুদ্ধে এবার জেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহায়কদের ভাতার টাকা ‘জাল স্বাক্ষর’ দিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। ‘নতুন কারিকুলাম বিস্তরণ’ বিষয়ক প্রশিক্ষণে সাপোর্ট সার্ভিসের বিনিময়ে তাঁদের এই ভাতা দিয়েছিল সরকার।

এর আগে ২০২৩ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ‘নিয়োগ-বাণিজ্যে বেপরোয়া সুনামগঞ্জ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা’ ও ৫ অক্টোবর ‘ভুয়া ভাউচারে হাতিয়ে নিচ্ছেন সরকারি টাকা’ শিরোনামে আজকের পত্রিকায় দুটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, নীতিমালায় ‘নতুন কারিকুলাম বিস্তরণ’বিষয়ক প্রশিক্ষণ সংশ্লিষ্ট উপজেলায় হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসের ১৭, ২১, ২৩ ও ২৪ তারিখে প্রশিক্ষণ বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় না করে জেলা সদরের সুনামগঞ্জ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে করানো হয়। প্রশিক্ষণে শহরের লবজান চৌধুরী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক আব্দুল গফুর ও সুনামগঞ্জ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের এমএলএসএস শহীদুল ইসলামকে দিয়ে সাপোর্ট সার্ভিস হিসেবে তিন দিন করে ডিউটি করানো হয়। এরপর তাঁদেরকে ৬০০ টাকা করে সম্মানী দেওয়া হয়। অথচ তাঁদের নামে তিন দিনে মোট ৫ হাজার ৮৮১ টাকা বরাদ্দ ছিল।

শুধু আব্দুল গফুর ও শহীদুল ইসলাম নন, বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক ও এমএলএসএসদের নাম ব্যবহার করে জাল স্বাক্ষর দিয়ে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন ওই দুই কর্মকর্তা। যাঁদের নাম তালিকায় দেওয়া হয়েছে তাঁরা কেউ জানেন না, তাঁদেরকে ডিউটিও করানো হয়নি। শুধু আব্দুল গফুর ও শহীদুল ইসলাম ডিউটি করেছেন। অথচ তালিকায় জেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ১২- ১৫ অফিস সহায়ক ও এমএলএসএসের নাম রয়েছে। তাঁদের প্রত্যেকের জাল স্বাক্ষর দিয়ে জনপ্রতি ৫ হাজার ৮৮১ টাকা ভাতা উত্তোলন করা হয়।

একইভাবে ২০২৩ সালের ২১, ২৩, ২৪, ২৬ ও ২৯ ডিসেম্বর সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার প্রশিক্ষণ করানো হয় সুনামগঞ্জ সরকারি সতীশ চন্দ্র বালিকা বিদ্যালয়ে। সেখানেও একইভাবে দুটি প্রশিক্ষণে ২৭ জনের মোট ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৮৭ টাকা আত্মসাৎ করা হয়।

প্রশিক্ষণ সাপোর্ট সার্ভিসে তিন দিন ডিউটি করা আব্দুল গফুর বলেন, ‘আমি তিন দিন করে ডিউটি করেছি। আমাকে ৬০০ টাকা করে দেওয়া হয়।’ স্বাক্ষরের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি চ্যালেঞ্জ করে জানান, এই স্বাক্ষর তাঁর নয়। আর কোনো টাকাপয়সা তিনি পাননি। চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা বলেন, দুজনকে দিয়ে প্রশিক্ষণ শেষ করে ১৫ ও ১২ জনের নামে জনপ্রতি ৫ হাজার ৮৮১ টাকা করে উত্তোলন করা হয়।

জানতে চাইলে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি জেলা প্রশিক্ষণবিষয়ক (সমন্বয়কারী) কর্মকর্তা সারোয়ার জাহান। তিনি একেকবার একেক কথা বলে জানান, বিশ্বম্ভরপুরে শিক্ষা অফিসার না থাকায় সুনামগঞ্জে প্রশিক্ষণ করানো হয়েছে। প্রতিটি রুমে দুজন করে কর্মচারীর সাপোর্ট সার্ভিস নেওয়া হয়। সবকিছু সঠিক মনে নেই। জেলা স্যার (জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার) ভালো বলতে পারবেন। স্যার যেভাবে যা করতে বলেন, তা-ই করি। 

একইভাবে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলমও সবকিছু অস্বীকার করেন। তাঁরও কিছুই মনে নেই। তবে তিনি দাবি করে বলেন, কয়েকজন শিক্ষক তাঁকে ফাঁসানোর জন্য এসব রটাচ্ছেন। এগুলো অযথা কথা। এসব অডিট হয়ে সব জমা হয়ে গেছে। 

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন