ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান
আল্লাহ তাআলা মানুষকে পরিশ্রমনির্ভর করে সৃষ্টি করেছেন। তাই মানুষ সারা দিন রকমারি কাজকর্ম সম্পাদন করে রাতে বিশ্রাম নেয়। বিশ্রাম নেওয়ার উৎকৃষ্ট উপায় হলো, শুয়ে ঘুমিয়ে পড়া। তবে শোয়ার আগে পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন হওয়া উচিত। তাই অজু করে শোয়া মহানবী (সা.)-এর সুন্নত। এই কাজ করলে স্বয়ং আল্লাহর ফেরেশতারা শয়নকারীর জন্য দোয়া করতে থাকেন।
মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি অজু করে শয্যা গ্রহণ করে, তার শরীরে সঙ্গে থাকা কাপড়ের মধ্যে একজন ফেরেশতা রাতযাপন করেন। যখনই শয়নকারী জাগ্রত হয়, তখন ফেরেশতা বলেন, হে আল্লাহ, আপনি অমুক বান্দাকে ক্ষমা করে দিন। নিশ্চয়ই সে অজু করে শয়ন করেছে।’ (ইবন হিব্বান) যখন কারও কল্যাণের জন্য একজন ফেরেশতা আল্লাহর কাছে দোয়া করেন অথবা মুক্তির জন্য সুপারিশ করেন তখন আল্লাহ তায়ালা তা কবুল করেন। এমতাবস্থায় শয়নকারীর জন্য ফেরেশতা জিম্মাদার হয়ে যান।
একইভাবে কোনো ব্যক্তি শোয়ার আগে নির্দিষ্ট কিছু দোয়া পাঠ করলে এবং অজু করে শোয়ার পর ঘুম থেকে জেগে আল্লাহর কাছে কল্যাণকর কিছু চাইলে তিনি ফেরত দেন না। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যেকোনো মুসলমান রাতে জিকির-আজকার তথা বিভিন্ন দোয়া পাঠ করে এবং অজু করে শুয়ে সে যদি রাতে জেগে আল্লাহর কাছে দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ প্রার্থনা করে, তাহলে তিনি তাকে তা দান করেন।’ (আবু দাউদ) কারণ সুন্দরভাবে অজু করলে ব্যক্তির ছোট ছোট গুনাহ ঝরে পড়ে।