নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কর্মকর্তারা করবেন নিজ ফেডারেশনের অনিয়মের তদন্ত। সেই তদন্ত কতটা ফলপ্রসূ হতো, তা নিয়ে একটা প্রশ্নবোধক চিহ্ন আগে থেকেই ছিল। নিরপেক্ষতার প্রশ্নে তদন্ত কমিটি থেকে দুই সহসভাপতির পদত্যাগ বাফুফেকে দিয়েছে বড় ধাক্কা।
ক্রয়সামগ্রী কেনাকাটায় অনিয়মের দায়ে বাফুফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। ফিফার সিদ্ধান্তের পর চাপের মুখে সোহাগের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে ঈদের আগে কার্যনির্বাহীর সাত সদস্যকে নিয়ে হয়েছিল অভ্যন্তরীণ একটি তদন্ত কমিটি। বাফুফের চার সহসভাপতির সঙ্গে কমিটিতে ছিলেন কার্যনির্বাহী কমিটির জাকির হোসেন, সত্যজিৎ দাস রুপু ও ইলিয়াস হোসেন। এত দিনে তদন্ত কমিটির তদন্ত শুরু তো হয়নি, উল্টো ‘ব্যক্তিগত’ কারণ দেখিয়ে সরে গেছেন দুই সহসভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক ও মহিউদ্দিন আহমেদ।
হঠাৎ ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তদন্ত কমিটি থেকে মানিক ও মহিউদ্দিনের সরে দাঁড়ানো আরও বিতর্কের মুখে ঠেলে দিয়েছে বাফুফেকে। কেন সরে দাঁড়ালেন—এমন প্রশ্নের মুখে সরে দাঁড়ানো এক সহসভাপতি নাম না প্রকাশের শর্তে বললেন, ‘এই তদন্ত দিয়ে আসলে আমাদের মনে হয়েছে কোনো ফল আসবে না। আমাদের তদন্ত আমরা কীভাবে করি? ফিফা যেখানে তদন্ত করে ফেলেছে মনে হয় না এসবের আর কোনো দরকার আছে!’
তদন্তের নিরপেক্ষতা নিয়ে নিজেরাই সন্দিহান তদন্ত কমিটির সদস্যরা। সূত্র থেকে জানা গেছে, বাফুফেতে সোহাগের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত দুই কর্মকর্তার বহাল তবিয়তে টিকে যাওয়া বেশ অস্বস্তিই জন্ম দিয়েছে পরিচালন পদে থাকা কর্মকর্তাদের মধ্যে। বিশেষ করে সোহাগের অতি ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত গ্রাসরুট ম্যানেজার হাসান মাহমুদকে নিয়ে অস্বস্তি আছে খোদ ফেডারেশনের ভেতরেই।