হোম > ছাপা সংস্করণ

রোজায় লোডশেডিংয়ে ভোগান্তি

অনিক সিকদার, বালিয়াকান্দি (রাজবাড়ী)

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে রমজানের প্রথম দিন থেকে লোডশেডিং চলছে। বিশেষ করে ইফতারের আগে অথবা পরে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ থাকছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

রমজান মাসে ইফতার, তারাবির নামাজ ও সাহ্‌রির সময় লোডশেডিং না দিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে নির্দেশনা থাকলেও তা কার্যকর হচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

ঘন ঘন বিদ্যুৎ চলে যাওয়া ও দীর্ঘ সময় না থাকায় সাধারণ মানুষকে অসহ্য গরমে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। আর ইফতার ও তারাবিতে বিদ্যুৎ না পেয়ে মানুষের মধ্যে বাড়ছে ক্ষোভ ও অসন্তোষ।

তবে পল্লী বিদ্যুতের বালিয়াকান্দি সাব জোনাল অফিস বলছে, এটি সারা বাংলাদেশের অবস্থা। সবকিছু দ্রুতই ঠিক হয়ে যাবে বলে আশা তাদের।

উপজেলার বহরপুরের রোমানা আক্তার বলেন, রমজানের শুরু থেকেই লোডশেডিং বেড়েছে। একদিকে তীব্র গরম, অন্যদিকে লোডশেডিং। এতে তাঁদের মতো গৃহিণীদের জন্য সাহরি ও ইফতারি তৈরি করা খুবই কষ্টকর।

অটোরিকশাচালক জামাল হোসেন বলেন, কয়েক দিন থেকে প্রতিদিন ইফতারের পর প্রায় এক ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। এই গরমে বিদ্যুৎ না থাকায় সাহরি ও ইফতার আরামে খেতে পারছেন না। সেই সঙ্গে ঘন ঘন লোডশেডিং ও গরমে রাতে ঠিকভাবে ঘুমাতেও পারছেন না।

শিক্ষার্থী মো. রেজোয়ান শেখ বলেন, লোডশেডিং এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে। শহর ও গ্রামে, কোথাও ঠিকমতো বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না। লোডশেডিং হচ্ছে। একে রমজান মাস, তারপর তীব্র গরম।

ইফতার, সাহরি ও তারাবির সময় বিদ্যুৎ না থাকায় রমজানের প্রথম দিন থেকে জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নানা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন। খন্দকার মিরাজুর রহমান মিরাজ নামের একজন লিখেছেন, ‘তিনি গেলেন ৮.২৫ মিনিটে এবং এলেন ১০.৩০ মিনিটে। এসে পাঁচ মিনিটও থাকলেন না। বিদ্যুৎ তুই আর কত শয়তানি করবি?’

আহম্মদ শাকিব নামে একজন লেখেন, ‘তারাবির নামাজ শুরু হলেই বিদ্যুৎ অফিসের ফাইজলামি শুরু হয়ে যায়।’

রাজিব হোসেন নিরব নামে একজন লেখেন, ‘সাহরির সময় বিদ্যুৎ চলে যায়, সন্ধ্যায় ইফতারের সময় বিদ্যুৎ চলে যায়, তারাবির নামাজের সময় বিদ্যুৎ চলে যায়। এর কি কোনো প্রতিকার নেই?

ফেসবুকভিত্তিক সংগঠন ‘আমরা রাজবাড়ীর সন্তান’ নামক একটি গ্রুপে একজন পোস্ট করেন, ‘আমরা রাজবাড়ীবাসী লোডশেডিংয়ের দিক থেকে অনেক এগিয়ে!’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজবাড়ীর বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের এক কর্মকর্তা বলেন, রাজবাড়ীতে বর্তমানে ওজোপাডিকো ও পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকদের দিনে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু রাজবাড়ীর ১৫০ মেগাওয়াট ধারণ ক্ষমতার বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র পাচ্ছে ৪৫ মেগাওয়াট। যার কারণে জেলার বিভিন্ন স্থানে লোডশেডিং থাকছে।

পল্লী বিদ্যুতের বালিয়াকান্দি সাব জোনাল অফিসার শামসুল হক বলেন, দেশের গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোতে গ্যাসের চাপ কমেছে। ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এ কারণে লোডশেডিং হচ্ছে। খুব দ্রুতই এই সংকট কেটে যাবে বলে আশা করেন তিনি।

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন