বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে দেশের একমাত্র পরিচর্যাকেন্দ্রে ২০টি শকুন অবমুক্তর অপেক্ষায় রয়েছে। দিনাজপুরসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে অসুস্থ ও আহত শকুনগুলো উদ্ধার করে এই কেন্দ্রে নিবিড় পরিচর্যায় রাখা হয়।
সিংড়া ফরেস্ট বন বিভাগের কর্মকর্তা (রেঞ্জার) হরিপদ দেবনাথ জানান, শীত মৌসুমে অন্য দেশ থেকে আসা ক্লান্ত ও অসুস্থ শকুন বিভিন্ন স্থান থেকে উদ্ধার করে এই পরিচর্যাকেন্দ্রে এনে সুস্থ করে তোলা হয়। সুস্থ হলে পরে অবমুক্ত করা হয়।
বীরগঞ্জের সিংড়া ফরেস্টে গড়ে তোলা পরিচর্যাকেন্দ্রে শকুনের দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা বাঁশেরহাট ভেটেরিনারি কলেজের চিকিৎসক খাদিজা বেগম জানান, পরিচর্যা কেন্দ্রে থাকা ২০টি শকুন সুস্থ হয়েছে।
শকুন উদ্ধার ও পরিচর্যাকেন্দ্রের মুখ্য গবেষক সারওয়ার আলম দিপু জানান, ২০১৬ সাল থেকে সিংড়া জাতীয় উদ্যানে এই কেন্দ্রটি চালু করা হয়। ২০২১ সাল পর্যন্ত উদ্ধার করা ১৪৯টি শকুন কয়েক মাস নিবিড় পরিচর্যায় রেখে সুস্থ হলে আবারও প্রকৃতিতে ছেড়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে ২০টি শকুন এ পরিচর্যাকেন্দ্রে রয়েছে।
বাংলাদেশ বন বিভাগের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা জোহরা মিলা জানান, পরিবেশ রক্ষায় শকুনের কোনো বিকল্প নেই। প্রতি বছর শীতে সাধারণ হিমালয়ী শকুন বা হিমালয়ান গৃধিনী আসার সময় দীর্ঘ যাত্রাপথে খাবারের অভাব ও ক্লান্তির কারণে অনেক সময় অসুস্থ হয়ে পড়ে। প্রকৃতির ঝাড়ুদার এই শকুন দেখা মাত্রই আক্রমণ করে অসচেতন মানুষ। নির্যাতনের পাশাপাশি মানুষ এদের ধরে হত্যা করে। পৃথিবীতে দ্রুততম বিলুপ্ত হতে চলা প্রাণী শকুন। বাংলাদেশে শকুনের পরিস্থিতি খুবই খারাপ। বিশ্ব থেকে ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে শকুন।