মুফতি খালিদ কাসেমি
ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের একটি নামাজ। প্রাপ্তবয়স্ক মুমিন নর-নারীর জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করা হয়েছে। তাই নির্ধারিত সময়ে এই নামাজগুলো আদায় করা মুমিনের জন্য অবশ্যপালনীয় কাজ। মহান আল্লাহ এরশাদ করেন, ‘নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় করা মুমিনের অবশ্যকর্তব্য।’ (সুরা নিসা: ১০৩)
যথাসময়ে ফরজ নামাজ আদায়ের মাধ্যমে একজন মুসলিম মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারে। এটি আল্লাহর কাছে সবচেয়ে পছন্দনীয় আমল।
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে প্রশ্ন করলাম, ‘আল্লাহর কাছে সর্বাধিক প্রিয় আমল কোনটি?’ তিনি বললেন, ‘যথাসময়ে নামাজ আদায় করা।’ আমি জিজ্ঞেস করলাম, ‘তারপর কোনটি?’ তিনি বললেন, ‘মা-বাবার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করা।’ আমি জিজ্ঞেস করলাম, ‘তারপর কোনটি?’ তিনি বললেন, ‘আল্লাহর পথে জিহাদ করা।’ তিনি আমাকে এ কথাগুলো বললেন। যদি আমি আরও প্রশ্ন করতাম তা হলে তিনি আরও অতিরিক্ত বিষয়ে বলতেন। (বুখারি)
বিভিন্ন ব্যস্ততার অজুহাতে অনেকে নামাজ সময়মতো আদায় করেন না কিংবা নামাজের ব্যাপারে উদাসীন থাকেন। এর পরিণতি হবে অত্যন্ত ভয়াবহ। মহান আল্লাহ এরশাদ করেন, ‘দুর্ভোগ সেই নামাজিদের জন্য, যারা নামাজ সম্পর্কে উদাসীন।’ (সুরা মাউন: ৪-৫)
ফরজ নামাজ ত্যাগ করার কারণে জাহান্নামে যেতে হবে। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, তারা থাকবে জান্নাতে। তারা জিজ্ঞাসা করবে অপরাধীদের সম্পর্কে, ‘কোন জিনিস তোমাদের জাহান্নামে নিয়ে গেছে?’ তারা বলবে, ‘আমরা নামাজিদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম না। আমরা অভাবীদের খাওয়াতাম না। আর অহেতুক আলাপে লিপ্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে আমরাও তাতে লিপ্ত হতাম এবং আমরা বিচার দিবসকে অস্বীকার করতাম।’ (সুরা মুদ্দাসসির: ৪০-৪৬)
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক