মিঠাপুকুর প্রতিনিধি
মিঠাপুকুরে ব্রিটিশবিরোধী সংগ্রামী নূরলদীনের কবর ও ফুলচৌকি মসজিদ সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতেমাতুজ জোহরা এই উদ্যোগ নিয়েছেন। ইতিমধ্যে কবর ও মসজিদের আগাছা ও শেওলা পরিষ্কার করে সাদা রং দেওয়া হয়েছে।
ইউএনও ফাতেমা জানান, তিনি সৈয়দ শামছুল হকের বই পড়ে নূরলদীন সম্পর্কে জেনেছেন। এ উপজেলায় ইউএনও হিসেবে যোগদানের পর তিনি নূরলদীনের নির্মাণাধীন রাজধানী ফুলচৌকি গ্রামে গিয়ে খোঁজখবর নেন। তখন দেখেন এই ব্রিটিশবিরোধী সংগ্রামীর কবর ও মসজিদ ময়লা-আবর্জনায় ঢাকা পড়ে আছে।
নূরলদীনের প্রকৃত নাম নুর উদ্দীন মোহাম্মদ বাকের জং। তিনি ছিলেন দিল্লির সম্রাট শাহ আলমের (দ্বিতীয়) আপন চাচাতো ভাই ও ভগ্নিপতি। তিনি ইংরেজ শাসন উৎখাতে একাধিকবার সম্মুখযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিলেন।
নূরলদীন অবশেষে ইংরেজদের চাতুরী ও দুজন বিশ্বাসঘাতকের চক্রান্তের কারণে ১৭৮৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে লালমনিরহাটে মোগলহাটে ইংরেজ সৈন্যদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে গিয়ে আহত হন এবং কয়েক দিন পর মারা যান। তার মরদেহ মিঠাপুকুর উপজেলা ময়েনপুর ইউনিয়নের ফুলচৌকি গ্রামে কবর দেওয়া হয়। কবরের সামনে মাসিক ইতিহাস অন্বেষার সৌজন্যে স্থাপিত একটি সাইনবোর্ডে লেখা বিবরণ থেকে এই তথ্য জানা যায়।
ফুলচৌকি মসজিদটি নির্মাণ হয় ১৮২২ সালে। এটি নির্মাণ করেন বাকের মোহাম্মদ কামাল।
প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ ২০০২ সালে ফুলচৌকি মসজিদটি তাদের হাতে নেয়। তবে দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় এটি শ্রীহীন হয়ে পড়েছিল।