ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরের মাচ্চর ইউনিয়নের মাঠ থেকে কিশোর সাব্বির বিশ্বাসের (১৫) হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার সকালে ফরিদপুরের সদর উপজেলার মাচ্চর ইউনিয়নের উত্তর দয়ারামপুরের একটি মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
সাব্বির চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের আছিরুদ্দিন মুন্সিরডাঙ্গী গ্রামের আলমগীর বিশ্বাসের ছেলে। সে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল। পাশাপাশি পড়াশোনার খরচ জোগাতে অটো রিকশা চালাতো।
সাব্বিরের চাচা জাহাঙ্গীর বিশ্বাস জানান, সাব্বির গোলডাঙ্গির পদ্মার চর হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। গত শুক্রবার সকালে বাসা থেকে বের হয় সাব্বির। এরপর আর তার খোঁজ মিলছিল না। তিনি বলেন, ‘তাদের কোনো শত্রু নাই। সাব্বিরকে হত্যা করে কে বা কারা তার অটো রিকশাটি নিয়ে যান ।
জানা যায়, গত শুক্রবার সকালে ব্যাটারি চালিত রিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় সাব্বির। পরে রাতে বাড়িতে না ফেরায় পরিবার-পরিজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিচ্ছিল। গতকাল শনিবার সকালে একটি ঘাসের খেতে সাব্বিরের লাশটি দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
ফরিদপুর সদর উপজেলার চর মাধবদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী আজম খান জানিয়েছেন, সাব্বির ওই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিল। তার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে পরিবারটি বেঁচে থাকার শেষ অবলম্বন টুকু হারিয়েছে। আমরা সরকারের কাছে বিশেষ করে পুলিশ বিভাগের কাছে এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই এবং প্রকৃতি অপরাধী যারা তাঁদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।
নিহত সাব্বিরের বাবা আলমগীর বিশ্বাস বলেন, ‘সাব্বির পড়াশোনার পাশাপাশি রিকশাচালাত। তা থেকে যা আয় হতো সেটি দিয়ে নিজের পড়াশোনা করার পাশাপাশি সংসারেও সহায়তা করত সে। আমার এই দরিদ্র পরিবারের প্রতি কার কুদৃষ্টি হলো আল্লাহ তুমি তাঁর বিচার করো।’
তিনি আরও বলেন, আমি একদিকে সন্তান হারিয়েছি। কীভাবে আমার পরিবারটি চলবে বলতে পারছি না আমি মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে ও সরকারের কাছে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করছি।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, পুলিশ খবর পেয়ে লাশটি উদ্ধার করেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই রিকশা চালকের রিকশাটি ছিনতাই করে তাকে হত্যা করা হয়েছে।